চৌগাছায় পাশাপোল-দশপাকিয়া রাস্তায় চলাদায়

0

এম এ রহিম চৌগাছা (যশোর)॥ যশোরের চৌগাছায় পাশাপোল-দশপাকিয়া রাস্তায় চলাদায় হয়ে পড়েয়ে। পাশাপোল ইউনিয়ন বাসীর চলাচলের প্রধান রাস্তা পাশাপোল-দশপাকিয়া রাস্তাটি। মাত্র দুই কিলামিটার রাস্তার অবস্থা বেহাল হওয়ায় বেশ কয়টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষকে প্রতিদিন পোহাতে হচ্ছে ব্যাপক দুর্ভোগ ।
জানা যায়, চৌগাছা-ঝিকরগাছা সড়েকর পাশাপোল বাজার থেকে পাশাপোল ইউনিয়েনর প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ বাজার দশপাকিয়া। রাস্তার দূরত্ব মাত্র দুই কিলামিটার। এ রাস্তাটি পাশাপোল ইউনিয়ন বাসীর চলাচলের প্রধান রাস্তা। উপেজলা শহেরর সঙ্গে ইউনিয়নবাসীর যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম এটি। দশপাকিয়া বাজারে রয়েছে একটি স্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ি, একটি মাধ্যিমক বিদ্যালয়, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। এছাড়া এ সড়কের পাশেই পাশাপোল গ্রামে রয়েছে আরো একটি প্রাথিমক বিদ্যালয়, ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র, গ্রামীণব্যাংকের শাখা, পোস্ট অফিসসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা। জনগুরুত্বপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও দীর্ঘদিনেও রাস্তাটি পাকা করা হয়নি।
এলাকাবাসী জানান, ১৯৯২ সালে তৎকালীন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আবু সাঈদ এ রাস্তায় ইট বিছানোর কাজ শুরু করেন। পরে সাবেক চেয়ারম্যান ইমামুল হাসান টুটুল ও মাওলানা আব্দুল কাদের সেই কাজ শেষ করেন। কিন্তু দীর্ঘ বিশ বছর পার হওয়ায় রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। কারণ দীর্ঘ দিন পার হওয়ায় ইট বিছানো রাস্তা এখন কাঁদা যুক্ত হয়ে চলাচলের উপযোগী নেই। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় বাঁধে হাঁটু পানি সৃষ্টি হয় কাঁদার। ফলে মানুষের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। সরকার আসে, সরকার যায়; রাস্তাটি সংস্কারের জন্য দেওয়া হয় নানাভাবে প্রতিশ্রু কিন্তু তা আজ পর্যন্ত বস্তবায়ন হয়নি। ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী গরিবপুর আর্দশ বিদ্যাপীঠের শিক কবীর হোসেন বলেন, ‘ভাই কী যে বিপদের মধ্যে আছি, তা বলে বোঝাতে পারেবা না।’ এ সময় কথা হয় পাশাপোল গ্রামের ব্যবসায়ী শিমুল হোসেন, জুলফিকার রহমান বটু, কবি ফজলুর রহমান, জাহিদুল ইসলাম, লিটন মিয়া, কৃষক মুকুল হোসেন, তোজাম্মেল হক, মাওলানা মিজানুর রহমানসহ অনেকের সঙ্গে তারা সবার একই কথা বলেন, মাত্র দুই কিলামিটার রাস্তা পাকা না হওয়ায় তারা যেন আদিম অবস্থায় পড়ে আছেন। দশপাকিয়া মাধ্যিমক বিদ্যালেয়র শিক মজের হোসেন ও সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল কাদের বলেন, বর্ষাকালে এই রাস্তার বেহাল দশার কারণে প্রায় অর্ধেক শিার্থী বিদ্যালেয় অনুপিস্থত থাকে। গঙ্গানন্দপুর ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক সবুজ হোসেন বলেন, এই রাস্তা ব্যবহার করে ইউনিয়নের পাশাপোল, দশপাকিয়া, মৎস্যরাঙ্গা, বুড়িন্দিয়াসহ বেসকটি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ চলাচল করে থাকেন। কিন্তু বারবার রাস্তাটি পাকাকরেণর কথা শোনা গেলেও আজ পর্যন্ত তা আলোর মুখ দেখেনি। এ রাস্তার ব্যাপারে পাশাপোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অবাইদুল ইসলাম সবুজ বলেন, রাস্তাটি পাকা করতে বাজেট ও টেন্ডার হয়েছে। ওয়ার্ক অর্ডারও হয়ে গেছে। অতিদ্রুতই কাজ শুরু হবে। চৌগাছা উপেজলা এলিজইডির প্রকৌশলী আব্দুল মিতন বলেন, ‘কাগজপত্র হেড অফিসে পাঠানো হয়েছে। আমি শুনেছি সবকিছু হয়ে গেছে। তবে কাগজপত্র এখনো হাতে পাইনি।’