বিএম আসাদ ॥ মহামারী করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ সংক্রমণে একই পরিবারের ৬ জনসহ আরো ১৩ জন গতকাল আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের ভেতর শিশু, ব্যাংক কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, স্বাস্থ্যকর্মী ও শ্রমিক লীগ নেতা রয়েছেন। এদিকে, পর্যাপ্ত নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নমুনার স্তুপ পড়ে গেছে। যশোর সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানিয়েছেন, গতকাল যশোর জেলায় ১৩ জন কোভিড-১৯ সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন। এর ভেতর যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হতে ৫৩টি রিপোর্ট এসেছে। এ রিপোর্টে ভেতর যশোরে ১২ জন কোভিড-১৯ সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন। ১১ জনই যশোর শহর ও সদর উপজেলার।
সূত্র জানিয়েছে, যশোরে পুরাতন কসবা রায়পাড়ায় একই বাড়িতে দুই বছরে শিশুসহ ৫ জন গতকাল করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। শিশুটির পিতা কয়েকদিন আগে আক্রান্ত হয়ে খুলনা ডায়াবেটিস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার দাদা ৫৮ বছর এবং ২৪ বছর ও ২৮ বছর বয়সের দু’চাচা, ২০ বছর বয়সী চাচী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। পরিবারিক ব্যবসায়ী। তারা পালবাড়ী ভাস্কর্যের মোড়ে ফলের ব্যবসা করেন। ৪১ বছর বয়স্ক এক ব্যক্তি শহরের সার্কিট হাউজপাড়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি নড়াইলের লোহাগড়া অগ্রণী ব্যাংকের ম্যানেজার। জেলা শ্রমিক লীগের সহ-সম্পাদক সেলিম রেজা পান্নু (৪৫) করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তার বাড়ি শহরতলীর চাঁচড়ায় দাড়িপাড়ায়। একই এলাকার ৬০ বছর বয়সী এক গৃহিনী আক্রান্ত হয়েছেন। যশোর সদর উপজেলার হিসাবরক্ষক (৫৩) ও উপজেলা পরিষদের অফিস সহায়ক (৪৫) করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। হিসাবরক্ষকের বাড়ি সদর উপজেলার ভায়না গ্রামে। অফিস সহায়কের বাড়ি মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার দরিশালদাহ গ্রামে। সদর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের ৩৬ বছর বয়স্ক এক কৃষক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। নিজ বাড়িতে তিনি বসবাস করেন। বাঘারপাড়া উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের এক মহিলা পরিচ্ছন্নতা কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তার বয়স ২৯ বছর। বাড়ি হাসপাতালপাড়ায়। তিনি হাসপাতাল চত্বরে বসবাস করেন। এছাড়া ঝিকরগাছা উপজেলার মুকন্দপুরে ৫৮ বছর বয়স্ক এক গৃহিনী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি সাতক্ষীরা মেডিকেল কেলজ থেকে নমুনা দেন। তার পুত্রবধূ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স। সেখানে বেড়াতে গিয়ে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়েছিলে তিনি। এ নিয়ে যশোরে গতকাল পর্যন্ত ২শ’ ৪৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তের তালিকায় মৃত্যুর সংখ্যা ১ জন হলেও করোনার উপসর্গ নিয়ে অর্ধডজন লোকের মৃত্যু হয়েছে যশোরে।