হিলিতে বাড়তির দিকে চালের দাম

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ বোরো ধানের ভরা মৌসুমে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি বাজারে ফের বাড়তে শুরু করেছে চালের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা ও চিকন দুই ধরনের চালের দামই কেজিতে ২-৪ টাকা বেড়েছে। মিলারদের দাবি, ধানের দাম কিছুটা বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে চালের দামেও। তবে এখানকার পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, মিলাররা মিল গেটে চালের বাড়তি দাম রাখছেন। অন্যদিকে করোনাকালীন চলমান দুর্যোগের সময় চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকারিভাবে খোলাবাজারে ন্যায্যমূল্যে চাল বিক্রির দাবি স্থানীয়দের।
গতকাল হিলির পাইকারি বাজার ঘুরে মোটা ও চিকন—সবধরনের চাল বাড়তি দামে বিক্রি হতে দেখা যায়। এক সপ্তাহ আগে আটাশ জাতের চাল প্রতি কেজি ৪০-৪২ টাকায় বিক্রি হলেও তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে কেজিপ্রতি ৪৪ টাকায়। একইভাবে ঊনত্রিশ জাতের চাল কেজিপ্রতি ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৪২ টাকা, প্রতি কেজি মিনিকেট জাতের চাল ৪৬-৪৮ থেকে বেড়ে ৫০ টাকা, জিরাশাইল ৩৮ থেকে বেড়ে কেজিপ্রতি ৪০ টাকা, সম্পাকাটারি ৪৪ থেকে বেড়ে ৪৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়।
এখানকার খুচরা চাল ব্যবসায়ী সুব্রত কুণ্ডু বলেন, চালের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২-৪ টাকা বেড়েছে। মিল গেটেই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে খাদ্যপণ্যটি। এ কারণে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরাও চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।
তিনি জানান, ধানের দাম এখন মণপ্রতি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০ টাকায় উঠেছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন মিলাররা। অথচ তারা যখন ধান কিনেছেন তখন দাম ছিল মণপ্রতি ৭০০-৯০০ টাকা। কিন্তু এখন মূল্যবৃদ্ধির সুযোগ কাজে লাগাতে তারা তুলনামূলক কম দামে আগে কেনা ধান থেকে চাল উৎপাদন করে বাড়তি দামে বিক্রি করছেন। এতে খুচরা পর্যায়েও চালের দাম বাড়তির দিকে রয়েছে।
হিলি বাজারের পাইকারি চাল ব্যবসায়ী অনুপ বসাক বলেন, গতবারের তুলনায় এবারে ধানের দাম তুলনামূলক ভালো রয়েছে। কৃষকরাও ধানের ভালো দাম পাচ্ছেন। আর বাড়তি দাম চালের উৎপাদন খরচ বাড়িয়েছে। ফলে মিল গেট এবং পাইকারি ও খুচরা দোকান—সবখানেই চালের দাম আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে।