শার্শায় অহরহ ঘটছে স্বাস্থ্যবিধি লংঘন ক্রেতা-বিক্রেতাদের মুখে নেই মাস্ক

0

নাভারণ (যশোর) সংবাদদাতা ॥ যশোরের শার্শা উপজেলার বিভিন্ন বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মানা হচ্ছে না বিধিনিষেধ। তিন চাকার যানে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে গাদাগাদি করে। বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অনেক ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে মাস্ক নেই। কিছু লোকের মুখে মাস্ক দেখা গেলেও সেটা নাকের নিচে নামানো ছিল। গ্লাভস দেখা যায়নি কারো হাতে। কলা বিক্রেতা আজগার আলির মুখে মাস্ক না থাকার কারণ জানতে চাইলে বলেন আল্লাহ ভরসা। মরণ তো একদিন আসবেই। ঠুসি দিলে কাস্টমারের সাথে কথা বলতে কষ্ট হয়। একটি ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি রিপন মাহমুদ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সাবধানতা অবলম্বনের জন্য মাস্ক পরা উচিত। তবে মাস্ক পরলে নাক মুখ ঘেমে অস্বস্তি লাগে। তাই প্রায়ই মাস্ক ছাড়াই চলাচল করি।
শিক্ষক মুনসুর আলী বলেন আমি তো মাস্ক পরে এসেছি। কিন্তু আরেকজন তো পরেনি। সে তো আমার কাছে চলে আসছে। তার কাছ থেকে দূরে সরতে গেলে আবার আরেকজনের সঙ্গে ধাক্কা খাচ্ছি। এটা খুবই অসংগতিপূর্ণ একটা পরিবেশ। সবারই উচিত এ সময় একটু সাবধান হয়ে চলাফেরা করা। কিন্তু কে শোনে কার কথা? এ দিকে বেনাপোলসহ শার্শা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এসব এলাকার বাজারগুলোতে কোনো স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। লকডাউন শিথিল করায় বাজারগুলোতে সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত ভিড় লেগেই আছে। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে এ ধরনের কোন অনুভূতি মানুষের মাঝে দেখা যাচ্ছে না। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। তবে কে কার কথা শোনে! সবাই চলছে আপন গতিতে। শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত অমান্য করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক ব্যবহার ও সরকরি নির্দেশনা পালনে আগের মতই উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।