সুশান্তের শেষ ফোন ধরেননি বন্ধু মহেশ!

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ রবিবার মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় নিজ বাড়ি থেকে বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক ধারণায় জানায় পুলিশ। তবে আত্মহত্যা নাকি খুন, দিনভর তা নিয়ে চলে গুঞ্জন। এ অভিনেতার পরিবার এবং কাছের কয়েকজন বন্ধু সুশান্ত খুন হয়েছেন বলে দাবি করে সিবিআই তদন্তের দাবি জানায়।
সুশান্তের মৃত্যু রহস্য বের করা জন্য চলছে তদন্ত। আর সেই তদন্তে বেরিয়ে এসেছে সুশান্ত শেষ কাকে ফোন করেছিলেন। ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের আগে তিনি সম্ভবত শেষ ফোনটা সেই বন্ধু মহেশকেই করেছিলেন। শনিবার মধ্যরাতের পর রবিবার ভোর রাত দু’টো নাগাদও একবার মহেশকে ফোন করেছিলেন সুশান্ত। কিন্তু সেই ফোন ধরতে পারেননি মহেশ। মৃত্যুর আগে সুশান্তের মানসিক অবস্থা কেমন ছিল, সেটা জানতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন মুম্বাই পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তারা তাদের কাছেই মহেশ এই তথ্য দিয়েছেন বলে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। সুশান্ত এবং মহেশের কল রেকর্ড ঘেঁটে আরো তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
একটা ফোন কল না ধরার আফসোস হয়তো সারা জীবনেও যাবে না মহেশ শেট্টির। অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু সুশান্ত সিংহ রাজপুত সম্ভবত শেষ ফোনটা তাকেই করেছিলেন। মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগেই। মহেশ শেট্টির সঙ্গে সুশান্তের সম্পর্ক সেই টিভি ধারাবাহিকে কাজ করার সময় থেকে। যে ধারাবাহিক দিয়ে ছোট পর্দায় সুশান্তের অভিষেক হয়েছিল, সেই ‘যিস দেশ মে হ্যায় মেরা দিল’-এ সহ-অভিনেতা ছিলেন মহেশ। তার পর ‘পবিত্র রিশতা’ ধারাবাহিকেও এক সঙ্গে কাজ করেছেন দু’জন। তার পর টিভি ছেড়ে বলিউডে কেরিয়ার জমিয়েছিলেন সুশান্ত। কিন্তু ভোলেননি শুরুর দিনের সেই বন্ধুর কথা। শুধু তাই নয়, বলিউডের অন্দরমহলের খবর যারা রাখেন, তাদের অনেকেই বলেন, মহেশকে সুশান্ত ভাইয়ের মতো দেখতেন।
সুশান্ত হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ার পর থেকে প্রায় পুরো সময়টাই তার পাশে ছিলেন মহেশ। তাকে হতাশা থেকে বেরিয়ে আসতে তিনি অনেক সাহায্য করেছেন বলে দু’জনের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে। সুশান্তের ঘনিষ্ঠরা বলেন, মহেশের পরামর্শে এবং সব সময় পাশে থাকার প্রচেষ্টায় হতাশা অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছিলেন সুশান্ত। তাই শেষ সময়েও তাকেই ফোন করেছিলেন। মহেশকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্রেই সুশান্তের সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য পেয়েছে ভারতের মুম্বাই পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মহেশ পুলিশকে জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরে অবসাদ কাটানোর ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন সুশান্ত। ওই ওষুধের আর দরকার নেই বলে তিনি মহেশকে জানিয়েছিলেন।
সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকেই কার্যত ভেঙে পড়েছেন মহেশ। সংবাদমাধ্যমের অনেকেই তার প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য ফোন, মেসেজ করেছেন। কিন্তু বন্ধুবিয়োগের শোকে কারো সঙ্গেই কথা বলতে চাননি তিনি। তার টিমের পক্ষ থেকে টুইট করে বলা হয়েছে, আমাদের সবার মতোই সুশান্তের মৃত্যুতে মর্মাহত মহেশ শেট্টিও। তিনি ভাইকে হারিয়েছেন, প্রিয় বন্ধুকে হারিয়েছেন এবং এখনও শোকাহত ও ভগ্নহৃদয়। আমরা তার টিমের পক্ষ থেকে তাঁর হয়ে সংবাদ মাধ্যমের সবাইকে অনুরোধ করছি, তাকে একা থাকতে দিন এবং শোক কাটিয়ে উঠতে দিন।