গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিটএকদিন পরেই প্রতিবেদন জমা, মন্তব্যে অনাগ্রহী বিএসএমএমইউ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষকদের উদ্ভাবিত করোনার অ্যান্টিবডি কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা শেষ করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। আনুষাঙ্গিক কাজ শেষে পরীক্ষা প্রতিবেদন আগামী বুধবার (১৭ জুন) ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরে জমা দেবেন তারা। তবে এ বিষয়ে এখনি মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে বিএসএমইউ কর্তৃপক্ষ। এদিকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রত্যাশা করছে বিএসএমএমইউ সঠিক প্রতিবেদন জমা দেবে এবং ফলাফল ইতিবাচক আসবে।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘কিটের পরীক্ষা শেষ। ডাটা প্রসেসিংয়ে আছে। আগামী বুধবার আমরা প্রতিবেদন জমা দেবো ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের।’ কিটের পরীক্ষার ফলাফলের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক কনক কান্তি বলেন, ‘পরীক্ষা শেষ হলেই তো ফলাফলের বিষয়ে বলা যাবে না। কারণ ডাটার প্রসেস শেষে হলে, সেইগুলা এডিট করে তারপর তারা আমাকে ফলাফল জানাবেন। এখনও সবকিছু চূড়ান্ত হয়নি। সুতরাং ফলাফলের বিষয়ে এখনি কিছু ধারণা করা ঠিক হবে না।’ গণস্বাস্থ্যের অ্যান্টিবডি কিটের উদ্ভাবক দলের প্রধান বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল বলেন, বিএসএমএমইউ বাংলাদেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ও শীর্ষ প্রতিষ্ঠান। আশা করি তারা সঠিক সিদ্ধান্তটা দেবেন এবং সঠিক ফলাফলটা জমা দেবেন। তাদেরকে যে কিট দিয়েছি, একই কিট দিয়ে আমরাও পরীক্ষা করছি। সুতরাং আমাদেরও আইডিয়া আছে ফলাফল কেমন হবে। আশা করি, সবকিছু ভালো হোক। তিনি আরও বলেন, আমাদের পরীক্ষার ফলাফল ভালো আসছে। যেভাবে এটার ডিজাইন করেছি, সেইভাবেই এর রেজাল্ট পাচ্ছি। আমাদের এখানে কোনও গরমিল হচ্ছে না। আশা করছি, বিএসএমএমইউ এমনটি পাবে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ বলছে, বিএসএমএমইউ হাসপাতাল কৃর্তপক্ষ কিটের ফলাফল পজেটিভ দিলেই এটি বাজারে চলে আসবে বিষয়টি এমন নয়। পরবর্তী ধাপে এটির নিবন্ধন প্রক্রিয়ার জন্য আন্তরিক হতে হবে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরকে। তারা কত দ্রুত নিবন্ধন দিবে এবং এর কাঁচামাল আমদানি অনুমতি দিবে তার ওপর কিটের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। ড. বিজন কুমার শীল বলেন, বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষের পরে পরবর্তী ধাপের কাজ ওষুধ প্রশাসনের। তাদের কাছে মালামাল আমদানিত জন্য অনুমতির আবেদন দেওয়া আছে। ফলে তারা যত দ্রুত অনুমতি দেবেন, ততই দ্রুত কিটের কাঁচা মাল বিদেশে থেকে আমদানি করতে পারবো। আমাদের সবকিছু রেডি আছে। তাদের অনুমতি পেলেই কাজ শুরু করতে পারবো। বাজারেও দ্রুত কিট আসবে। তবে এ বিষয়ে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমানকে একাধিকবার ফোন ও মেসেজ করে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট নিয়ে শুরু থেকে অনেক বিতর্কের পরে গত ৩০ এপ্রিল ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর থেকে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে বা আইসিডিডিআরবিতে উদ্ভাবিত কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য অনুমিত দেওয়া হয়। এরপর গত ১৩ মে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য বিএসএমএমইউতে প্রথম দফায় কিট জমা দেয় গণস্বাস্থ্য। একইসঙ্গে পরীক্ষা খরচ বাবদ ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা জমা দেয় তারা। এরপরও বিভিন্ন সময় কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার অগ্রগতি না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।