মানবপাচারকারী চক্রের হোতা আমাদের কব্জায় : পাপুল প্রসঙ্গে কুয়েতের উপ-প্রধানমন্ত্রী

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ প্রায় এক সপ্তাহ কুয়েতের সিআইডি হেফাজতে থাকা বাংলাদেশি সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের রিমান্ড শেষ হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত তার রিমান্ড এবং তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে আটক রাখতে প্রাথমিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন কুয়েতের আদালত। জিজ্ঞাসাবাদের সূচনাতে এমপি পাপুল নিজেকে নির্দোষ এবং মানবপাচার ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগগুলো অস্বীকার করলেও ভিকটিম এবং তার এক সহযোগীর মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদে অপকর্মগুলোর দায় মাথা পেতে নিয়েছেন। বাংলাদেশি এমপিকে গ্রেপ্তার এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদে মানবপাচার, ভিসা বাণিজ্য এবং অর্থ পাচারে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ হাজির করতে পারায় সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা তথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টের চৌকস কর্মকর্তাদের ‘স্যালুট’ শব্দ ব্যবহার করে অভিবাদন জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দায়িত্বে থাকা কুয়েতের উপ-প্রধানমন্ত্রী আনাস আল সালেহ। এক টুইট বার্তায় সালেহ বলেন, গত সপ্তাহে মানবপাচারসহ বহু অভিযোগে এশিয়ান ওই অভিবাসীকে নিজেদের কব্জায় নেয়ার মধ্য দিয়ে অন্যতম বৃহৎ এবং চাঞ্চল্যকর একটি মামলার রহস্য উন্মোচনে সফল হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন ওই টিম। এজন্য আমি নিরাপত্তা বাহিনীটির সংশ্লিষ্ট সদস্যদের স্যালুট জানাচ্ছি। ওই তদন্তে তারা এমন সব বিষয় উদ্ভাবনে সক্ষম হয়েছেন, যেখানে সন্দেহজনক বিপুল পরিমাণ অর্থনৈতিক লেনদেনের উপস্থিতি তথা বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে। ওই লেনদেনটি এমন একটি চক্রের মাধ্যমে হয়েছে, যেখানে কিছু কোম্পানি এবং কর্মকর্তা যুক্ত ছিলেন।
অবশ্য তদন্ত কাজে এদের সহযোগিতা পাওয়া গেছে। আর এ কারণেই ওই নেটওয়ার্কের মূল হোতাকে ধরা গেছে। এদিকে বাংলাদেশি এমপি জিজ্ঞাসাবাদে কুয়েতে কার কার নাম এসেছে তা প্রকাশ এবং বেনিফিশিয়ারি ওই কুয়েতি নাগরিকদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন কুয়েত সিটির প্রভাবশালী সংসদ সদস্য আবদুল কারিম আল কান্দারি। নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচারিত বার্তায় তিনি এ দাবি জানান। খবর আরব টাইমস এর। তবে ওই রিপোর্টে বাংলাদেশি এমপির বদলে বাংলাদেশি মন্ত্রী উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ন্যায়বিচারের স্বার্থে ওই বাংলাদেশি কুয়েতে যেসব কর্মকর্তা বা ব্যক্তিকে উপহার বা উপঢৌকন দিয়ে মানবপাচার, মানি লন্ডারিং এবং ভিসা বাণিজ্য করেছে তাদেরও বিচারের আওতায় আনা উচিত। আল কান্দারী নামে সমধিক পরিচিত তরুণ ওই পার্লামেন্টারিয়ানের পড়াশোনা আইনের ওপর। তিনি ফ্রান্সে ট্রাসবার্গ ইউনিভার্সিটি থেকে কমার্শিয়াল ল্থর ওপরে স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি ডিগ্রি নিয়েছেন। পেশাগত জীবনে অধ্যাপনার পাশাপাশি কোর্টে আইন প্র্যাকটিসও করছেন। ২০১৩ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া ওই আইনজ্ঞ সরকারি কাজে অসহযোগিতা পাওয়ার কারণে স্বেচ্ছায় এমপি পদ ছেড়ে (পদত্যাগ করে) বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে গিয়েছিলেন। ‘১৬ সালে তার এলাকার ভোটাররা দ্বিগুণের বেশি ভোটে তাকে পার্লামেন্টে ফিরিয়েছে। এখন তিনি পার্লামেন্টে দেশটির জন সম্পদ, নারী, ফ্যামিলি, লেজিসলেটিভ এবং লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্সসহ বহু কমিটির সদস্য। তার এ টুইট নিছক একটি দাবি নয় বরং এটি নানা কারণে তাৎপর্যপূর্ণ বলছে আরব টাইমসসহ কুয়েতি সংবাদ মাধ্যমগুলো।  আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ মানবপাচারকারী ৩ সদস্যের ওই নেটওয়ার্ক বা চক্রের বিরুদ্ধে অভিযানের পরিকল্পনা করে সিআইডি। অভিযানে একজন ধরাও পড়ে। কিন্তু দু’জন সে সময় কুয়েত থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পাচারচক্রের ওই ৩ সদস্যের একজনই বর্তমানে সিআইডি হেফাজতে থাকা বাংলাদেশি কাজী পাপুল। কুয়েতে সংবেদনশীল অবস্থানে থাকা ওই ৩ জনের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিও ওই বাংলাদেশি। যিনি বাংলাদেশে এমপি এবং একটি ব্যাংকের পরিচালক। সেই অভিযানের খবর পেয়ে ওই বাংলাদেশি এমপি কুয়েত থেকে পালিয়ে যান। তাকে ধরতে না পেরে ফেব্রুয়ারিতে সেই কেসের তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত করতে হয়েছিল। তখন সিআইডি অভিযোগ পেয়েছিল এমপি পাপুল এবং তার দুই সহযোগী মিলে অন্তত ২০ হাজার বাংলাদেশিকে কুয়েতে চাকরির নামে পাচার করেছেন এবং প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তবে ওই অর্থ তিনি কুয়েতে রাখেননি। তার আমেরিকান পার্টনারের মাধ্যমে বড় অংশ অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন।
সহযোগী মামুন আটক, পাপুলের অর্থপাচারের দালিলিক প্রমাণ পেয়েছে সিআইডি
ওদিকে এমপি পাপুলের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগের তদন্ত বেশ দূর এগিয়েছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় কূটনৈতিক এবং ব্যবসায়ী সূত্রে খবর বেরিয়েছে- চলমান তদন্তের অংশ হিসেবে এমপি পাপুলকে সঙ্গে নিয়ে অভিযানে বের হয়েছিল সিআইডি। এতে তারা তার মানি লন্ডারিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ডকুমেন্ট পেয়েছে এবং তা জব্দ করা হয়েছে। যার মধ্যে এমপির কুয়েতি ব্যাংকের হিসাব বুক এবং চেকবইও রয়েছে। তাতে বিপুল পরিমাণ আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ হাতে পেয়েছে সিআইডি। সূত্র মতে, ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট গত বুধবার মূর্তজা মামুন নামে এমপি পাপুলের এক বিশ্বস্ত সহযোগীকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। মূলত মামুনকে ধরার পর এমপির মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগের দালিলিক প্রমাণ হস্তগত হয় সিআইডির। স্থানীয় আরব টাইমসের এ সংক্রান্ত ফলোআপ রিপোর্ট মতে, এমপির বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ১১ জন বাংলাদেশি ভিকটিম সাক্ষ্য দিয়েছেন। বাংলাদেশি ওই শ্রমিক, যাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ভিসা বাবদ আড়াই থেকে ৩ হাজার দিনার হাতিয়ে নেয়া ছাড়াও রেসিডেন্সি নবায়ন বাবদ আতিরিক্ত ১ লাখ টাকা করে নিয়েছেন পাপুল। প্রত্যেক শ্রমিককে পাপুলের মুখোমুুখি করেছে সিআইডি। আর তখনই তার কর্মচারী থেকে দুর্নীতিসহ সকল অপকর্মের বিশ্বস্ত সহযোগী হয়ে ওঠা মূর্তজা মামুনের নাম আসে। এমপির ওই সহযোগীকে সিআইডি চটজলদি তাদের হেফাজতে নেয়। তাকে আদালতে প্রসিকিউশনে উপস্থাপন করা এবং রিমান্ড চাওয়া হলে তাৎক্ষণিকভাবে তা মঞ্জুরও হয়। তবে মামুনকে পাপুলের সহযোগী হিসেবে আসামি করা হবে না-কি রাজসাক্ষী করা হবে এবং হুইসেলব্লোয়ার হিসেবে তার সুরক্ষা নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হবে তা তদন্তের চূড়ান্ত পর্বে নির্ধারিত হবে। স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, এমপির অপকর্মের সহযোগী মূর্তজা মামুন পাপুলসহ বহু শরিকের প্রতিষ্ঠান মারাফী কুয়েতিয়া গ্রুপের একজন পরিচালক। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মামুনের বাস মূলত কানাডায়। তাদের উভয়ের একজন কমন ফ্রেন্ড আমেরিকায় রয়েছেন, যার মাধ্যমেই মানবপাচার করে হাতিয়ে নেয়া ১৪০০ কোটি টাকার বড় অংশ যুক্তরাষ্ট্রে সরিয়েছেন মর্মে গত ফেব্রুয়ারিতে রিপোর্ট করছিল আরবী দৈনিক আল কাবাস এবং ইংরেজি দৈনিক আবর টাইমস। যদিও উভয় রিপোর্টকে এখনো ফেক নিউজ বলে প্রচার চালায় বাংলাদেশ দূতাবাস। রাষ্ট্রদূত এবং হেড অব চেন্সারি মিলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দিয়েও আল-কাবাস ও আরব টাইমসের এক্সক্লুসিভ সেই খবরকে ‘ফেক নিউজ’ বলে প্রচার করিয়েছিলেন। সূত্রমতে, গত বুধবার থেকে মূর্তজা মামুনকে সিআইডি হেফাজতে এমপি পাপুল এবং ভিকটিম শ্রমিকদের মুখোমুখি এবং স্বতন্ত্রভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ওই জিজ্ঞাসাবাদে পাপুল, তার স্ত্রী এবং শালিকার বিষয়ে বেশ চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় সিআইডি। পাপুল যে বাড়িতে থাকেন সেখানে গত বৃহস্পতিবার সিআইডির সদস্যরা তাকে নিয়ে গিয়েছিল এবং ওই বিল্ডিংয়ের পার্কিংয়ে থাকা তার ব্যবহৃত একটি গাড়ি থেকে মানি লন্ডারিংয়ের ডকুমেন্ট অর্থাৎ হিসাব বুক এবং চেক বই উদ্ধার করা হয়। যাতে গত কয়েক মাসে কানাডায় তার বিপুল পরিমাণ অর্থ সরিয়ে নেয়ার প্রমাণ রয়েছে।
গত ৬ই জুন রাতে কুয়েতের মুশরেফ এলাকার বাসা থেকে সিআইডি পুলিশ তাকে আটক করে। পরদিন তাকে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থাপন করে তার রিমান্ড চাওয়া হয়। আদালত ১৪ই জুন পর্যন্ত তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে চলমান তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে আটক রাখার নির্দেশ দেন। এ পর্যন্ত এমপি পাপুলের আইনজীবীরা ৩ দফা তার জামিন চেয়েছেন, কিন্তু আদালত তা বরাবরই নাকচ করেছেন।
ঢাকাকে এখনো অন্ধকারে রেখেছে দূতাবাস
এমপি পাপুল ইস্যুতে কুয়েতি এবং মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমগুলোর বরাতে দুনিয়ার দেশে দেশে বাংলাদেশের নাম জড়িয়ে সংবাদ প্রচারিত হলেও প্রকৃত অর্থে আটক পাপুলকে নিয়ে কি হচ্ছে তা নিয়ে ঢাকায় এখনো কোনো রিপোর্ট পাঠায়নি বাংলাদেশ দূতাবাস। ঘটনার বিস্তারিত জানতে গত ৭ই জুন কুয়েতের পররাষ্ট্র দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারিকে তিনি টেলিফোনও করছিলেন। কিন্তু করোনাকালীন লকডাউন তাকেও পাননি বলে শনিবার মানবজমিনের কাছে দাবি করেন রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম। তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো এমপি আটকের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। তবে তিনি যে আটক হয়েছে এবং সিআইডি হেফাজতে রয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ঢাকায় অন্যদের জানানো হয়েছে। কুয়েতে আটক এমপির সবশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমাদের কাছে নতুন কোনো তথ্য নেই। মিডিয়ায় বিভিন্ন বিষয় দেখছি। কুয়েতের কাছ থেকে সরকারিভাবে এ ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। কুয়েত থেকে আমাদের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছিলেন, কুয়েতের সরকারের কাছ থেকে তথ্য চেয়ে চিঠি লিখেছিলেন। যেহেতু কুয়েতে এখন বন্ধ চলছে, তাই তিনি এ বিষয়ে চিঠির কোনো জবাব পাননি।’
মানবপাচার বন্ধে কুয়েতের উপ- প্রধানমন্ত্রীর কঠোর হুঁশিয়ারি
এদিকে কুয়েতের উপ-প্রধানমন্ত্রী আনাস আল সালেহ মানবপাচারকারী প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, তার কর্তব্যের আওতাধীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এখনকার অগ্রাধিকার হচ্ছে মানবপাচারকারী এবং রেসিডেন্সি কারবারিদের পাকড়াও করা। এ কাজে সাম্প্রতিক সময়ে অনেকটাই অগ্রগতি সাধিত হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, অনেক সন্দেহভাজনের নাম পাচ্ছি। এর মধ্যে কর্মকর্তা ও বিশিষ্টজনের নামও আসছে। যার নামই আসুক তদন্তে তাদের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হলে অবশ্যই তাদের ধরা হবে এবং নিশ্চিতভাবে তাদের আদালতে রেফার বা উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে বিচারের পরবর্তী ধাপ সম্পন্ন করা হবে বলে জানান। উল্লেখ্য, অতি সম্প্রতি কুয়েতে ভিসা বাণিজ্য, মানবপাচার, অবৈধ মুদ্রা পাচার এবং শ্রমিকদের সঙ্গে প্রতারণা সংক্রান্ত পৃথক দুটি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে আপিল আদালতে। সেখানে এক অভিযুক্তের ৩ বছরের জেল এবং অন্যজনের যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মানবপাচারের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তারা কাঁড়িকাঁড়ি দিনার হাতিয়ে নিয়েছেন। তবে তার সঙ্গে আটক সন্দহভাজন অন্য ৩ জনকে আদালত নির্দোষ হিসেবে খালাস দিয়েছেন। কুয়েত টাইমসের রিপোর্টে যুগান্তকারী অন্য রায়ের বিস্তারিত তুলে ধরে বলা হয়েছে, মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কুয়েতের আদালত খুবই সোচ্চার। গত সপ্তাহে পার্লামেন্টে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এটি বন্ধে কঠোর আইন প্রণয়নের দাবিও করা হয়েছে।