পাঁচ ভারতীয় ক্রিকেটারকে ডোপিং অ্যাজেন্সির নোটিশ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রায় তিন মাস ধরে ভারতে চলছে লকডাউন। মাঠে নেই কোনো খেলা। ক্রিকেটাররাও গৃহবন্দি। তবে ন্যাশনাল অ্যান্টি-ডোপিং অ্যাজেন্সির (নাডা) কাছে ক্রীড়াবিদদের গত তিন মাসের অবস্থান জানানো ছিল বাধ্যতামূলক। আর সেই কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা পাঁচ ক্রিকেটার। চেতেশ্বর পূজারা, রবীন্দ্র জাদেজা, লোকেশ রাহুল, দীপ্তি শর্মা এবং স্মৃতি মান্ধানা নিজেদের অবস্থান জানাতে পারেননি নাডার কাছে। সাধারণত তিনবার এভাবে অবস্থান জানাতে ব্যর্থ হওয়া মানে অ্যান্টি ডোপিং অ্যাজেন্সির নিয়ম ভঙ্গ করা। সেক্ষেত্রে দুই বছরের শাস্তির বিধান আছে খেলোয়াড়দের জন্য। তবে ক্রিকেটারদের পাশে সে দেশের ক্রিকেট বোর্ড দাঁড়িয়েছে। বিসিসিআই দাবি করেছে, পাসওয়ার্ড বিভ্রাটের জন্য নিজেদের অবস্থান জানাতে দেরি করেছে ক্রিকেটাররা।
নাডা’র মহাপরিচালক নাভিন আগারওয়াল পিটিআইকে জানান, অনেক সময় দেখা যায় ক্রীড়াবিদরা নেট বা অনলাইন সম্পর্কে পুরো জ্ঞান না রাখায় তথ্য সময়মতো দিতে পারে না। সেক্ষেত্রে খেলোয়াড়দের পক্ষে বোর্ড বা ফেডারেশন তথ্যগুলো জানায়। এরই মধ্যে বিসিসিআই তাদের পাঁচ ক্রিকেটারের অবস্থান জানাতে ব্যর্থতা নিয়ে একটি ‘যৌক্তিক’ ব্যাখ্যা দিয়েছে। বিসিসিআইয়ের ব্যাখ্যা নিয়ে নাভিন আগারওয়াল বলেন, ‘তারা জানিয়েছে, পাসওয়ার্ট বিভ্রাট হয়েছিল, এখন সেটা ঠিক হয়ে গেছে। তাদের দেওয়া ব্যাখ্যা যুক্তি সঙ্গত মনে হচ্ছে। আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবো।’ বিসিসিআইয়ের ব্যাখ্যা নিয়ে আলোচনার পর নাডা সিদ্ধান্ত নেবে, বোর্ডের দেখানো কারণ গ্রহণ করে এটিকে ক্রিকেটারদের ব্যর্থতা হিসেবে না ধরবে নাকি প্রথম ব্যর্থতা হিসেবে গণ্য করা হবে। নাডা’র নিয়মানুসারে তিনবার অবস্থান জানাতে ব্যর্থ হলে তা একবার অ্যান্টি ডোপিং আইন ভাঙার সমান অপরাধ। সেক্ষেত্রে শুনানির পর সর্বোচ্চ দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি হতে পারে।