যশোরে গৃহবধূ লিনা হত্যা মামলায় আটক টগরের কোর্টে স্বীকারোক্তি

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্ত্রী লিনা খাতুনের পরকীয়া ছিলো। তাছাড়া সে অবাধ্যও হয়ে ওঠেছিল। এ নিয়ে তাদের দু জনের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মারামারি হলে স্ত্রী লিনা খাতুন আহত হয়। পরে সে মারা যায়। যশোর শহরের বারান্দীপাড়ার কদমতলার লিনা খাতুন হত্যা মামলায় আটক তার স্বামী টগর হোসেন শুক্রবার আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুদ্দিন হোসাইন তার জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর ফাঁড়ি পুলিশের এস আই শরিফুল ইসলাম। তদন্ত কর্মকর্তা আরও জানান, টগর হোসেন একজন মুদি ব্যবসায়ী। ১৭ বছর আগে লিনা খাতুনের সাথে তার বিয়ে হয়। কিন্তু লিনা খাতুন একপর্যায়ে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি পরে টগর হোসেন জেনে যান। এরপর গত ২৫ মে রাতে খাবার নিয়ে তার স্ত্রী বাঘারপাড়ার ভাঙ্গুরায় বোনের বাড়িতে যেতে চান। কিন্তু তাকে যেতে নিষেধ করেন টগর হোসেন। এ নিয়ে রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মারামারি হয়। এতে আহত হন লিনা খাতুন। পরে আশেপাশের লোকজন ও আত্মীয়-স্বজন তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় হাসপাতালে চিকিৎসক ছিলেন না। কিন্তু তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় দ্রুত খুলনার গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক লিনাকে মৃত ঘোষণা করেন।