৪৪টি ডিম দিয়েছে পিলপিল

0

বাগেরহাট প্রতিনিধি॥ পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্রের কুমির পিলপিল ৪৪টি ডিম পেড়েছে। শুক্রবার (১২ জুন) দুপুরে প্রজনন কেন্দ্রের পুকুর পাড়ে নিজের বাসায় এ ডিম দেয় পিলপিল। এরমধ্যে ২১টি ডিম পিলপিলের নিজে বাসায়, ১২টি পুরাতন ইনকিউবেটরে এবং ১১টি নতুন ইনকিউবেটরে রাখা হয়েছে। ৮৫ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে এসব ডিম থেকে বাচ্চা ফুটতে পারে বলে আশা করছেন প্রজনন কেন্দ্রের কর্মকর্তারা। এর আগে ২৯মে পিলপিলের সাথে থাকা আরেকটি কুমির জুলিয়েট ৫২টি ডিম দেয়। যা এখন বাচ্চা ফোটার অপেক্ষায় রয়েছে। ২০১৯ সালের ৯মে ৪৪টি ডিম দিয়েছিল জুলেয়েট। যা থেকে কোনো বাচ্চা পাওয়া যায়নি।
পিলপিল ২০১০ সাল থেকে এই প্রজনন কেন্দ্রে নিয়মিত ডিম দিয়ে আসছে। তবে গেল তিন বছর পিলপিল ও জুলেয়েটের ডিমে কোনো বাচ্চা ফোটেনি বলে জানিয়েছেন করমজল বন্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির। আজাদ কবির বলেন, ‘পিলপিল নিজ বাসায় ৪৪টি ডিম দিয়েছে। আমরা ডিমগুলোকে তিনটি ভাগে ভাগ করে রেখেছি। এবারের ডিমগুলো থেকে বাচ্চা পওয়ার জন্য আমরা প্রাকৃতিক উপায়, গতানুগতিক ইনকিউবেটর ও নিজেদের তৈরি ইনকিউবেটরের সহযোগিতা নিচ্ছি। ডিম থেকে বাচ্চা পেতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। কারণ, বিগত তিন বছর ধরে এখানে কুমিরের বাচ্চা হচ্ছে না। আশাকরি এবার একটি ভাল ফল পাব।’ করমজলই বাংলাদেশের একমাত্র সরকারি কুমির প্রজনন কেন্দ্র। ২০০০ সালে করমজল বন্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্রের শুরু। ২০০৫ সালে সর্ব প্রথম এখানে কুমিরে ডিম দেয়। এখন পর্যন্ত করমজলে বিভিন্ন সময় ২৯২টি কুমিরের ছানা জন্ম নিয়েছে। যার মধ্যে ১৯৫টি ছানা এখনও প্রজনন কেন্দ্রে রয়েছে। ৯৭টি কুমিরের ছানা সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী ও খালে অবমুক্ত করা হয়েছে।