শরণখোলায় মাদ্রাসা ছাত্রীকে ১৮ দিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ

0

শরণখোলা সংবাদদাতা॥ বাগেরহাটের শরণখোলায় ১০ম শ্রেনীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরনের পর ১৮ দিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার দুপুরে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ থানা হেফাজতে নিলেও এ ঘটনায় মামলা হয়েছে শুক্রবার দুপুরে। শরণখোলা থানায় অপহরণ ও ধর্ষন মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলার দক্ষিন রাজাপুর গ্রামের অপহৃত ছাত্রীর পিতা জানান, তার মেয়ে উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর দাখিল মাদ্রাসায় ১০ম শ্রেনীতে পড়াশুনা করে। পার্শ্ববর্তী মালিয়া-রাজাপুর গ্রামের হানিফ হাওলাদারের ছেলে রাকিব (২৮) ও মোজাম্মেল ভূইয়ার ছেলে মুন্না (২৮) বিভিন্ন সময় তার মেয়েকে উত্যাক্ত করতো। এ অবস্থায় গত ২২ মে বেলা ১১টায় তার মেয়ে ব্যক্তিগত কাজে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে প্রধান সড়কে যায়। এসময় মোটরসাইকেলসহ বন্ধুদের নিয়ে ওৎ পেতে থাকা রাকিব ও মুন্না তার মেয়েকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়। সেই থেকে শরণখোলা থানায় মৌখিকভাবে জানিয়ে মেয়েকে খুঁজতে থাকেন। গত বুধবার (১০ জুন) অপহরণ কারীরা তার মেয়েকে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পথে খবর পেয়ে পুলিশ উপজেলার পাঁচ রাস্তা এলাকা থেকে উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়ার পর ওই ছাত্রী সাংবাদিকদের জানান, অহরণের পর মুন্নার বাড়ির দোতালায় নিয়ে তাকে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে রাকিব। এসময় রাকিবকে সহযোগীতা করতো মুন্নার মা খাদিজা বেগম ও তার ভাই খোকন। এব্যাপারে শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ এসকে আব্দুল্লাহ আল সাইদ জানান, উদ্ধার করে মেয়েটিকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তার পিতা বাদী হয়ে রাকিব ও মুন্নাসহ পাঁচজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামী গ্রেফতারে অভিযান চালছে। শনিবার মেয়েটিকে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্ধি গ্রহণ ও ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য বাগেরহাট সদরে পাঠানো হবে। উল্লেখ্য যে, এ ঘটনায় শরণখোলা থানার ওসি ও ভিকটিমের পরিবারের কেউ সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি।