স্টাফ রিপোর্টার চৌগাছা (যশোর) ॥ যশোরের চৌগাছার স্বপন কুমার দাস (৪০) নামে এক ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। সে যশোর সদর হাসপাতালের ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী ও চৌগাছা পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের ঋষিপাড়ার বাসিন্দা।
স্বপন কুমার দাস জানান, বেশ কিছু দিন আগে যশোর সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি এক রোগিকে মাস্ক পরাতে গেলে ওই রোগি হাঁচি দেন। এরপর থেকেই তার জ্বরজ্বর ভাব, কিছুটা গলায় ব্যাথা ছিল। পরে হাসপাতালের অন্যদের সাথে বুধবার তিনিও করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। তার নমুনা পাঠানো হয় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারে। সেখানে বৃহস্পতিবারের পরীক্ষায় তার নমুনা পজেটিভ হয়। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে হাসপাতাল থেকে তাকে মোবাইল ফোনে বাড়িতে আইসোলেশনে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। স্বপন ধারনা করছেন ওই রোগির হাঁচি থেকেই তিনি সংক্রমিত হয়েছেন।
স্বপনের প্রতিবেশিরা জানান, করোনা পজিটিভ নিয়েই তিনি বুধ ও বৃহস্পতিবার চৌগাছা থেকে মোটরসাইকেলে করে যশোর গিয়ে হাসপাতালে ডিউটি করেছেন। তারা জানান, শুক্রবার সকালেও সে মোটরসাইকেলে চড়ে চৌগাছা শহরময় ঘুরে বেড়িয়েছেন। বাজার থেকে সবজিসহ নিত্য ব্যবহার্য্য সামগ্রী ক্রয় করে বাসায় গিয়েছেন। এরপর বেলা ১১ টার দিকে যশোর হাসপাতাল থেকে তাকে ফোন করে বলা হয়েছে সে করোনায় আক্রান্ত। এদিকে স্বপনের স্ত্রী চৌগাছা হাসপাতালের আয়া পদে কর্মরত। তিনিও বৃহস্পতিবার চৌগাছা হাসপাতালে ডিউটি করেছেন বলে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ লুৎফুন্নাহার বলেন, স্বপন যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে কর্মরত এবং তার স্ত্রী আমার চৌগাছা হাসপাতালের আয়া পদে কর্মরত আছে। সংবাদ পেয়ে আমি মোবাইলে তাকে বাড়িতে থাকার জন্য বলে দিয়েছি। তিনি জানান স্বপনের স্ত্রী গতকাল বৃহস্পতিবারও হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে ২/৩টি অপারেশনে চিকিৎসকদের সহযোগি ছিলেন। আমার অফিসেও এসেছিলেন। শনিবার সকালেই তার পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে একই সাথে তার বাড়িও লকডাউন করা হবে বলে তিনি জানান।