‘মানুষ বাইরে বের হচ্ছে না, ফুল কিনবে কী করে?’

0

কুষ্টিয়া সংবাদদাতা॥ কুষ্টিয়ার মিরপুরের আরিফুজ্জামান, বয়স ৩২ বছর। এক সন্তানের জনক তিনি। মিরপুর উপজেলার সদরপুর ইউনিয়নের বাগানপাড়া এলাকার বাসিন্দা। আমলা বাজারে ছোট্ট একটি ভাড়া দোকানে ফুল আর পত্রিকা বিক্রির ব‌্যবসা তার। দোকানের নাম ‘আমলা ফুল সেন্টার’। স্ত্রী-কন‌্যা নিয়ে সুখেই দিন কাটছিলো। তবে করোনা মহামারীর কারণে ঠিকমতো পত্রিকা আসে না। দুই মাস ধরে বন্ধ ফুল বিক্রিও। দোকানে বেচা-বিক্রি বন্ধ থাকায় সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে আরিফুজ্জামানের।
আরিফুজ্জামান বলেন, ‘কুষ্টিয়া শহর থেকে গাঁদা, রজনিগন্ধা, গোলাপ, চাইনা বেলী, জারবারাসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফুল এনে বিক্রি করি। কাঁচা ফুল বিক্রি না হলে তো নষ্ট হয়ে যায়। লাভের চেয়ে লোকসান বেশি হয়। বাজারে কাঁচা ফুল আমদানী করতে পারছে না বিক্রেতারা। আমি এই করোনার মধ্যে দুই দিন চার হাজার টাকার ফুল এনেছিলাম। কিন্তু সেগুলো বিক্রি করতে পারিনি। সব পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বর্তমানে করোনার কারণে মানুষের বিয়ে, গায়ে হলুদসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এ কারণে ফুলের চাহিদা কম। তা ছাড়া মানুষ তো ঘর থেকেই বের হতে পারছে না, ফুল কিনবে কী করে? তাই কাঁচা ফুল আনা বাদ দিয়ে দিয়েছি। শহর থেকে কিছু প্লাস্টিকের ফুল কিনে এনেছি। সাতদিন ধরে পড়ে আছে একটিও বিক্রি হয়নি। ‘ফুলের পাশাপাশি দোকানে পত্রিকাও বিক্রি করি। কিন্তু দুই মাস পত্রিকা বন্ধ রয়েছে। পত্রিকার বিল পাচ্ছি না। এখন সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে।” আমলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মালিথা বলেন, ‘করোনার কারণে অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও কর্মজীবি মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকে এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে আমি তাদের অনেককেই সাহায্য সহযোগিতা করেছি। এই করোনার মধ্যে ফুল ও পত্রিকা বিক্রি বন্ধ হয়ে পড়ায় আরিফুজ্জামান বিপাকেই রয়েছে। আমরা সাধ্যমতো তাকে সহযোগিতা করব।’