খুমেকের পিসিআর ল্যাবে নমুনার স্তূপ

0

খুলনা সংবাদদাতা॥ খুলনা মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের পিসিআর ল্যাবে করোনাভাইরাসে সন্দেহভাজনদের নমুনার স্তূপ জমে গেছে। মেশিনে সক্ষমতার বেশি নমুনা জমা হওয়ায় পরীক্ষায় হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। ফলে আরও একটি মেশিন বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
সূত্র মতে, এ ল্যাবে একদিনে করোনা পরীক্ষার সর্বোচ্চ ক্ষমতা ১৯২টি। তবে নমুনা আসছে প্রতিদিন গড়ে ৩ শতাধিক। কয়েকদিনে দেড় হাজারেরও বেশি নমুনা জমে গেছে। ফলে রিপোর্ট পেতে বিলম্ব হচ্ছে সাধারণ মানুষের। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ৭ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে মঙ্গলবার (৯ জুন) পর্যন্ত খুমেকের ল্যাবে পরীক্ষা হয়েছে সাড়ে ৮ হাজার, যা দিনের হিসাবে প্রতিদিন দেড়শ’র কাছাকাছি। খুলনা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল আহাদ জানান, এখন পর্যন্ত দেড় হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা হওয়ার অপেক্ষায় আছে। যা ল্যাবের সর্বোচ্চ সক্ষমতা দিয়ে পরীক্ষা করলেও তা শেষ হতে অন্তত এক সপ্তাহ লাগবে। এর মধ্যে যদি আরো বেশি নমুনা আসে তাহলে স্বাভাবিকভাবেই একজন রোগীর নমুনা নেয়ার পর ৫ দিনের বেশি সময় লাগবে রিপোর্ট দিতে। এতে করোনা রোগী শনাক্তে বিলম্ব হবে।
এদিকে, ল্যাবের গত দুই দিনের রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত দুই দিনে পিসিআর ল্যাব থেকে যে রিপোর্টগুলো প্রকাশিত হয়েছে তার অধিকাংশ স্যাম্পলই ৫ থেকে ৭ দিন আগে নেয়া। নগরীর সাউথ সেন্ট্রাল রোডের তাসলিমা বেগম, পূর্ব বানিয়াখামার এলাকার বাসিন্দা মাসুম বিল্লাহ নমুনা দিয়েছিলেন ১ জুন, রিপোর্ট পেয়েছেন ৮ জুন। বয়রার আব্দুল আজিজ নমুনা দিয়েছিলেন ৩ জুন, রিপোর্ট পেয়েছেন ৯ জুন। ফুলতলা এলাকার সুমন সানা নমুনা দিয়েছেন ৩০ মে, রিপোর্ট পেয়েছেন ৮ জুন। এছাড়া বেশিরভাগ নমুনা শহরের বাসিন্দাদের ৩ থেকে চারদিন আর জেলার বাসিন্দাদের গড়ে ৫ দিন এবং জেলার বাইরের রিপোর্টগুলো প্রায় ৭ দিন পরে প্রকাশিত হচ্ছে। খুমেকের সহকারী অধ্যাপক ডা. এস.এম তুষার আলম জানান, এখন আইসোলেশনে থাকা রোগীদের প্রতিদিনের রিপোর্ট সেদিনই এবং সরকারি চাকরিজীবীদের সিভিল সার্জন অফিসের মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে নমুনা সংগ্রহে হয়তো শৃঙ্খলা ফিরবে। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে ল্যাব স্থাপন অথবা খুমেকে আরো একটি মেশিন স্থাপন করতে না পারলে এই সংকট কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে না বলে জানান তিনি। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (৯ জুন) করোনাভাইরাস সংক্রান্ত খুলনায় প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের এক জরুরি সভায় খুলনা মেডিক্যাল কলেজের ল্যাবে আরও একটি পিসিআর মেশিন এবং সাতক্ষীরায় একটি ল্যাব স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।