বিপজ্জনক আয় বৈষম্য রাষ্ট্রের জন্য হুমকি: আ স ম রব

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ বিপজ্জনক আয় বৈষম্য কমাতে না পারলে রাষ্ট্রের অস্তিত্ব হুমকিতে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি’র সভাপতি আ স ম আবদুর রব। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ছিল উচ্চ ‘আয় বৈষম্যের’ দেশ। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের মতে, বাংলাদেশ এখন বিপজ্জনক ‘আয় বৈষম্যের’ দেশে পরিণত হয়েছে। এই বিপজ্জনক আয় বৈষম্য কমাতে না পারলে রাষ্ট্রের অস্তিত্ব চরম হুমকিতে পড়বে। বিদ্যমান রাষ্ট্র কাঠামোতে এবং জিডিপি নির্ভর পরিকল্পনায় মৌলিক পরিবর্তন ছাড়া আয় বৈষম্য কমানো সম্ভব হবে না।’ বুধবার (১০ জুন) ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে জেএসডি আয়োজিত অনলাইন সাংবাদিক সম্মেলনে দলের সভাপতি আ স ম আবদুর রব এসব কথা বলেন।
রব বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে ইতোমধ্যেই যে মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে এবং আগামীতে ঘটতে যাচ্ছে, তা পূরণ করা আমাদের পক্ষে খুবই কঠিন। করোনার কারণে আর্থিক খাতে আমরা যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি, তা পুনরুদ্ধার করার চ্যালেঞ্জই আমাদের কাছে এখন বড়। করোনার কারণে দেশের প্রায় সব সেক্টরের উৎপাদন বন্ধ থাকায় আমদানি-রফতানি খাতে বিরাট প্রভাব পড়েছে। এটা শুধু আমাদের দেশের জন্য নয়, করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী যে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, তা অতীতের যেকোনও দুর্যোগ এর চেয়ে বেশি।’ রব দাবি করেন, করোনায় সৃষ্ট গত দুই মাসে বিপর্যস্ত অর্থনীতির কারণে আমাদের দেশে লাখ লাখ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। বহু পরিবারের আয় কমেছে, সার্বিকভাবে দারিদ্র্যের হারও বেড়েছে।
তিনি বলেন, ‘এবারের বাজেট যেন গতানুগতিক না হয়,বাজেট হতে হবে গণমুখী। বাজেটে স্বাস্থ্যখাত, কৃষিখাত ও শিক্ষাখাতে যেমন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে, তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প-কলকারখানা চালু এবং কয়েক কোটি মানুষের কর্মসংস্থানসহ গণমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।’ সংবাদ সম্মেলনে রব দলের পক্ষ থেকে কয়েকটি প্রস্তাব উল্লেখ করেন। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য— সামাজিক নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য, কৃষি, পরিবেশ ও শিক্ষা খাতে বাজেট প্রণয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। জাতীয় স্বাস্থ্য কাউন্সিল গঠন করে সক্ষমতা বৃদ্ধি ও ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণসহ করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় বরাদ্দ প্রদান করতে হবে। মেগা প্রজেক্টগুলোর অপচয় বন্ধ করতে হবে। রেন্টাল পাওয়ারের ভর্তুকি বন্ধ করতে হবে। কর্মহীন মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য দ্রুত ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প চালু করতে হবে এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। গার্মেন্টসসহ সব শিল্প কলকারখানায় শ্রমিকদের চাকরির নিরাপত্তা ও জীবন সুরক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।