ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে করোনা প্রতিরোধে দোকানিরা মানছেননা সরকারি নির্দেশ রাতের আধারে খোলা হচ্ছে হোটেল রেস্তোরা

0

শিপলু জামান, কালীগঞ্জ( ঝিনাইদহ)সংবাদদাতা ঃ করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে জনগনকে নিরাপদ রাখতে, দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে সরকারের যে উদ্দ্যোগ, তা যদি সাধারণ জনগন সচেতন হয়ে পালন করে, তাহলে মরণঘাতী করোনা কে জয় করা সম্ভব। সরকারের আদেশ পালনে জনগনকে সচেতন করতে, সুস্থ রাখতে, নিরাপদে রাখতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা যে ভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাঠে, ঘাটে, শহর কিংবা সারা দেশে কর্তব্য পালন করে যাচ্ছেন তাতে পুলিশ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকা সত্যি প্রসংশনীয়। সাধারণ জনগনকে নিরাপদ রাখতে গিয়ে প্রাণ দিতে হচ্ছে পুলিশের, প্রান দিতে হচ্ছে ডাক্তারদের। দিনদিন আক্রান্ত হচ্ছে শত শত পুলিশ। এসব দেখেও সচেতন তো দূরের কথা অনেকের কাছে তা গল্প কাহিনি আর কফি হাউসের আড্ডায় পরিণত হয়েছে। মনে হয় তাদের কাছে এসব কিছুই না। যার ফলে অনেকে সরকারি আদেশ অমান্য করে কিছুকিছু দোকানপাট কোনো সামাজিক বা শারিরীক দূরত্ব বজায় না রেখেই করছেন বেঁচাকেনা ও রাতে থাকছে কিছু কিছু হোটেল খোলা। সকাল থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত খোলা থাকার কথা থাকলে ও তা কোন ভাবেই মাননে না। এমনকি হোটেল মালিকরা প্রমাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দিন রাত ২৪ ঘন্টা চুটিয়ে ব্যবসা করছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায়, সড়ক কিংবা পাড়া মহল্লার জনগনকে সচেতনতার সহিত সামাজিক দূরত্ব ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলার বিধি বিধান অনুয়ায়ী দোকানপাট খোলার রাখার সরকারি আদেশ থাকলে ও তা মানছে না অনেকে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা তাদের মতো করেই চলছে। সন্ধ্যার পর চায়ের দোকানে, পানের দোকানে পাড়ার অলিগলি ও সড়কে চলছে আড্ডা। মানছে না সামাজিক কিংবা শারীরিক দূরত্ব। এতে করে করোনা সংক্রমণ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন এলাকার সচেতন জনসাধারণ।
বিশেষ করে শহরের মেইন বাসষ্টান্ডে ধানসিঁড়ি হোটেল, ধানসিঁড়ি হোটেল এ- রেস্টুরেন্টে, মদিনা হোটেল থাকছে খোলা। কোনো কোনো হোটেল মালিকরা এক শাটার বন্ধ করে ও হোটেলের সামনে বসে থেকে খরিদ্দারদের হোটেলের ভিতর ঢুকিয়ে শাটার বন্ধ করে চালাচ্ছেন খাওয়া দাওয়া ও বেচা কেনা। এসব হোটেলে কর্মরত শ্রমিকদের থাকছেনা কোনো সেফটি প্রোটেকশন। রাতে ঢাকার পরিবহন গুলো মদিনা ও ধানসিড়ি হোটেলেররসামনে দাঁড়িয়ে থেকে যাত্রিদের খাবার খাওয়াচ্ছে। ঢাকা থেকে বা দেশের দূরদুরান্ত জেলা থেকে আগত অনেকেই রাতে এই হোটেলে খাবার খেয়ে থাকেন। যেখানে দূরের কোনো জেলা থেকে কেউ আসলে তাকে ১৪ দিন হোম কোয়ারান্টাইনে থাকার কথা।
যার ফলে দিনদিন যে ভাবে সংক্রমণ বাড়ছে এতে করোনার সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি থাকে বেশী কালীগঞ্জ বাসির জন্য। অনেক সময় প্রশাসন হোটেল গুলোতে জরিমানা করে থাকে কিন্তু হোটেল মালিকরা কিছুই মনে করছে না। বিশেষ করে মেইন বাসষ্টান্ডে মদিনা ধানসিডি এই দুটি হোটেল পরিবেশ নষ্ট করছে। তারা প্রশাসনিক কোন আইন মানছে না।
এব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ ( ওসি) মাহফুজুর রহমান জানান, হাইওয়ে রোডের পাশে রাতে খাবারের হোটেল খোলা বা বন্ধ রাখার কোনো সরকারি নির্দেশনা পায়নি। নির্দেশনা পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবর্ণা রানি সাহা জানান, রাতে শহরে খাবারের হোটেল খোলা রাখার কোনো সরকারি নির্দেশনা নাই। হোটেল খোলা থাকেকিনা তা আমার জানা নেই। আমি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।