শ্যামনগরে পাউবো বেড়িবাঁধে ফের ভাঙনে ১৪ গ্রাম প্লাবিত

0

শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা ॥ শ্যামনগরে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে কাশিমাড়ী ইউনিয়নের ঝাপালী গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেড়িবাঁধে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে রিং বাঁধের কাজ শেষ হতে না হতেই আবারো খোলপেটুয়া নদীতে ধসে পড়েছে। এতে কাশিমাড়ী ইউনিয়নের ৮টি গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের আরও ৬টি গ্রাম নূতন করে ফের প্লাবিত হয়েছে। ১০ হাজার বিঘা চিংড়ি মৎস্য ঘের পানিতে ভেসে গেছে। ১৪ টি গ্রামের যাবতীয় মিষ্টি পানির পুকুরগুলো লোনাপানি ঢুকে তলিয়ে গেছে। খাবার পানির তীব্র সংকটে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।
কাশিমাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এম আব্দুর রউফ জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে ইউনিয়নের ঝাপালির এলাকায় পাউবো’ বেড়িবাঁধ খোলপেটুয়া নদীতে ভেঙে পড়ায় ১৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়। স্থানীয় গ্রামবাসীর নিয়ে দীর্ঘ প্রচেষ্টায় কোররকমে রিং বাঁধ দিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ করা হয়। কিন্তু ১৪ দিন পরে খোলপেটুয়া নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ারে আবারও রিং বাঁধ ভেঙে ২টি ইউনিয়নের ১৪টি গ্রাম নূতন করে প্লাবিত হয়েছে। এতে হাজার হাজার চিংড়ি মৎস্য ঘের পানিতে তলিয়ে কয়েক শ কোটি টাকার মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এলাকার যাবতীয় পুকুর লোনা পানিতে তলিয়ে গেছে। এলাকাজুড়ে তীব্র খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। পাউবো’ কর্তৃপক্ষকে বার বার বলার পরেও সংশ্লিষ্টদের কাদা ছোড়াছুড়িতে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন । শ্যামনগর উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এসডিই) রাশিদুর রহমান বলেন, বেড়িবাঁধ মেরামতে ৮হাজার জিও ব্যাগ ও ৬ হাজার সিনথেটিক ব্যাগ সরবরাহ করা হয়েছে। কিন্তু ভাঙন কবলিত স্থানে পানির গভীরতা বেশি হওয়ায় রিং বাঁধ আবারও ভেঙে গেছে। বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য ১কোটি ৯১ লাখ টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে ক্ষতিগ্রস্ত পাউবো’ বেড়িবাঁধ মেরামত করা হবে বলে তিনি জানান।