পরপর ৩ মেয়ের আত্মহত্যা শোকে পাথর বৃদ্ধ মাতা

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এক এক করে তিন মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এতে বৃদ্ধ মাতা মজিরননেছা শোকে পাথর হয়ে গেছেন। পুলিশ জানিয়েছেন, যশোরে দু’নারী আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যাকারীদের ভেতর একজন সাজেদা বেগম (৩৫)। যশোর সদর উপজেলার ডাকাতিয়া গ্রামে স্বামী আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে গত শনিবার দুপুরে কীটনাশক পান করেন তিনি। যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে তার মৃত্যু হয়। মানসিক সমস্যার কারণে তিনি কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেছেন বলে মৃতার ভাই মোহাম্মদ হাসান জানিয়েছেন। তারা ৫ বোন ও ৩ ভাই। পিতা লুৎফর রহমান দফাদার কয়েক বছর আগে মৃত্যুবরণ করেছেন। বেঁচে আছেন বৃদ্ধ মাতা মজিরননেছা। কন্যা সাজেদা বেগমকে হারিয়ে শোকে তিনি পাথর হয়ে গেছেন। মৃতার ভাই হাসান জানিয়েছেন, তার ৫ বোনের ভেতর ৩ বোন একে একে চলে গেলেন। তাও আত্মহত্যা করে। ১৫ বছর আগে জোহরা বেগম (৩২) নামে এক বোন স্বামীর বাড়িতে কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেন। স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়ে দু’ছেলে রেখে জোহরা বেগম আত্মহত্যা করেছিলেন। জোহরা বেগম ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার শিমলা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী। জোহরা বেগমের মৃত্যুর ৪ মাস পূর্বে আরেক বোন রোকেয়া বেগম (৪০) স্বামীর বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। রোকেয়া যশোর সদর উপজেলার নলডাঙ্গা গ্রামের শুকুর আলীর স্ত্রী। এক কন্যা সন্তান রেখে তিনি সে সময় আত্মহত্যা করেছিলেন। মনোয়ারা বেগম (৭০) নামে অপর এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। মনোয়ারা বেগম যশোর সদর উপজেলার জিরাট গ্রামের মৃত মুনসুর আলীর স্ত্রী। নিঃসন্তান মনোয়ারা বেগমের স্বামী মারা যাওয়ার পর একই গ্রামে তিনি বসবাস করতেন। পিত্রালয়ে ঘরের পাশে আমগাছের ডালের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে তার ভাই ইউনুস বিশ্বাস ও প্রতিবেশী মেম্বর মুন্সি রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন।