সাদের ঘটনায় জাপার ব্যাখ্যা, ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ পল্লীনিবাসে এরশাদের ছেলে রাহগীর আল মাহে সাদ এরশাদ এমপিকে ঘিরে সংঘটিত ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি। এ বিষয়টি মিমাংসিত উল্লেখ করে এ ঘটনা নিয়ে দলের মধ্যে পরিস্থিতি ঘোলাটে করলে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁয়িয়ারিও দেন তিনি।
রোববার (৭ জুন) দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মসিউর রহমান রাঙ্গা আরো বলেন, ২ জুন সন্ধ্যার পর জাতীয় পার্টি রংপুর মহানগর ২৭ নম্বর ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতান নিজ ওয়ার্ডের উন্নয়ন কর্মসূচির বিষয়ে রংপুর-৩ এর সাংসদ সাদের কাছে সুপারিশের জন্য যান। বাইরের গেটটি বন্ধ থাকায় পাহারাদারকে নিজ পরিচয় দিয়ে গেটটি খুলতে অনুরোধ করেন। দারোয়ান গেট খুলতে অস্বীকৃতি জানালে টিপু সুলতান গেটে অপেক্ষা করতে থাকেন। এ সময় একটি প্রাইভেটকার-এ জনৈক প্রিন্সসহ ৪/৫ জন গেটের সামনে এলে দারোয়ান গেটটি খুলে দেয়। এরপর গাড়ির পেছনে পেছনে টিপু সুলতানও পল্লীনিবাসে প্রবেশ করেন। জনৈক প্রিন্স ওই সময় টিপু সুলতানকে কাছে ডেকে অকথ্য ভাষায় গালি দেয় এবং প্রিন্সের সঙ্গে থাকা ব্যক্তিরা টিপু সুলতানকে মারধর করে পল্লীনিবাসের একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। টিপু সুলতানকে আটকে রাখার খবর জাতীয় পার্টি রংপুর মহানগরীতে ছড়িয়ে পড়লে নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তারা পল্লীনিবাসের গেটে জমায়েত হয়। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন আমাকে অবহিত করলে আমি পার্টির চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তার নির্দেশে বিষয়টি রংপুর মহানগর সভাপতি ও স্থানীয় মেয়য়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে মিমাংসার নির্দেশ দেই। রংপুর মেয়র পল্লীনিবাসে গিয়ে সাংসদ সাদের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি নিস্পত্তি করেন।
টিপুর গ্রেপ্তার ও পরবর্তী ঘটনা
জাপা মহাসচিব বলেন, রংপুর মেয়র সাংসদ সাদের সঙ্গে বিষয়টি মিমাংসা করার পরও নির্যাতিত জাপা ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতানকে মামলা দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তখন জাতীয় পার্টি রংপুর মহানগর শাখা ও জেলা জাতীয় পার্টি কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করে। পরে এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ প্রশাসনকে পার্টি চেয়ারম্যান ও আমি অনুরোধ করি। পুলিশ প্রশাসন মামলার সত্যতা না টিপু সুলতানকে ছেড়ে দেয়।
‘একটি মিমাংসিত বিষয় নিয়ে ৬ জুন সকালে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং মহানগর উত্তরের নেতা এবং কতিপয় অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ১০-১২ জন পথচারীসহ হ্যান্ড মাইকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের দোষারোপ করেন। অথচ ঘটনাটি মিমাংসিত এবং রংপুরের বিষয়’, উল্লেখ করেন জাপা মহাসচিব। তিনি বলেন, এ বিষয় নিয়ে পার্টি চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেন নাই। বিরোধীদলীয় নেতা বিষয়টি টেলিফোনে আমাকে এবং চেয়ারম্যানকে অবহিত করলে আমরা তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করি। এ অবস্থায় এ বিষয়টি নিয়ে যারা পরিস্থিতি ঘোলাটে করার অপচেষ্টা করছে- জাতীয় পার্টি তাদের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ বিষয়ে নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধও জানান মহাসচিব রাঙ্গা।