ইউনাইটেড হাসপাতালের করোনা ইউনিটে অগ্নিকাণ্ড, ৫ জনের লাশ উদ্ধার

0

রাজধানীর গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালের করোনা ইউনিটে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় পাঁচ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আধা ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন, মো. মাহবুব (৫০), মনির হোসেন (৭৫), ভেরনন অন্তন্তি পাল (৭৪), খুদেজা বেগম (৭০) ও রিয়াজ উল হক (৪৫)। তারা প্রত্যেকেই করোনা ইউনিটে ডা. ওমর ফারুকের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তাদের মধ্যে তিন জন কভিড-১৯ পজিটিভ ছিলেন। বাকি দু’জন সুস্থ হয়ে উঠছিলেন। তাদের রিপোর্ট নেগেটিভ  ছিল। এরমধ্যে খুদেজা বেগমের শেষ দুটি টেস্টের একটি নেগেটিভ এসেছিল বলে জানা গেছে। ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার কামরুল ইসলাম জানান,  রাত ৯ টা ৫৫ মিনিটের দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। প্রায় আধা ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে ১০টা ২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাসপাতালের মুল ভবনের বাইরে স্থাপন করা করোনা ইউনিটে আগুন লাগে। হাসপাতালের ভেতর ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। বাঁচার তাগিদে রোগীরা আর্তচিৎকার করতে থাকেন। তাৎক্ষণিকভাবে আইসিইউ থেকে রোগীদের বের করে আনা হয়। অনেক রোগী নিজ উদ্যোগে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান। ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ধারণা হাসপাতালের করোনা ইউনিটের এসির বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার সুদীপ চক্রবর্তী বলেন, হাসপাতালের পাশে অস্থায়ী করোনা ইউনিটে আগুন লাগে। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ জনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। নিহত পাঁচ জনের মধ্যে চার জন পুরুষ ও একজন নারী। তারা করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অগ্নিকাণ্ডে তারা দগ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।
ডিএমপি’র গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার সুদীপ চক্রবর্তী আরও বলেন, করোনা আইসোলেশন ইউনিটে প্রচুর স্যানিটাইজারসহ অন্যান্য দাহ্য পদার্থ ছিল।  এক রোগীর স্বজন ৯৯৯ এ ফোন করে আগুনের খবর দেয়।  পরে ভাটারা থানা পুলিশ বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসে জানায়। তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রন করে। ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন বলেছেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর সেখান থেকে ফায়ার সার্ভিস পাঁচটি লাশ উদ্ধার করেছে। অগ্নিকাকাণ্ডের ঘটনাস্থলটি হাসপাতালের মেইন ভবন সংলগ্ন। সেখানে অগ্নিনির্বাপনের কোনো ব্যবস্থা ছিল না বলে জানান তিনি।