মনিরামপুরে সেই সরকারি ৫৫৫ বস্তা চাল নিলামে বিক্রি

0

স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর(যশোর)॥ যশোরের মনিরামপুরে সরকারি ৫৫৫ বস্তা চাল পাচারকালে পুলিশের হাতে আটক হবার পর আদালতের নির্দেশে বুধবার প্রকাশ্যে নিলামে বিক্রি করা হয়। বিকেলে মনিরামপুর থানা চত্বরে আয়োজিত নিলামে সাড়ে ২৩ টাকা কেজি দরে ১৬.৪৪ মেট্রিকটন চাল তিন লাখ ৮৬ হাজার ৩৪০ টাকায় ক্রয় করেন মেসার্স কবির এন্টারপ্রাইজের মালিক পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির। নিলামে মোট নয়জন ব্যবসায়ী অংশ নেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান উল্লাহ শরিফী, উপজেলা কৃষি অফিসার হীরক কুমার সরকার, মামলার বর্তমান তদন্তকারী কর্মকর্তা যশোর ডিবি পুলিশের ওসি মারুফ আহমেদ, মনিরামপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম, ওসি(তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান, সৌমেন দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান উল্লাহ শরিফী জানান, আদালতের নির্দেশে নিলামের মাধ্যমে সাড়ে ২৩ টাকা দরে কেজিপ্রতি এ চাল বিক্রি করা হয়েছে। ৫৫৫ বস্তা চালের মধ্যে পুলিশ সিজার লিস্ট করেন ৫৪৯ বস্তা। এর মধ্যে ৫ বস্তা চাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে নষ্ট হয়ে যায়। আর এক বস্তা পুলিশ মামলার আলামত হিসেবে রেখেছে।
উল্লেখ্য গত ৪ এপ্রিল বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে পুলিশ ভাইভাই রাইস মিল এন্ড চাতালে অভিযান চালিয়ে সরকারি ৫৫৫ বস্তা চালসহ আটক করে চাতাল মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং ট্রাক চালক ফরিদ হাওলাদারকে। অবশ্য এসময় সেখানে চাতাল মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পুলিশ, সাংবাদিকসহ উপস্থিতিদের সামনে চাল পাচারের ঘটনায় খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসিএলএসডি), প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা(পিআইও), সিন্ডিকেট নেতা শহিদুল ইসলাম, অষ্টম দাস, জগদিশ দাসসহ জড়িত অনেক কুশিলবদের নাম প্রকাশ করে। অথচ পুলিশ বাদি হয়ে শুধুমাত্র চাতাল মালিক মামুন এবং ট্রাকচালক ফরিদের নামে মামলা করেন। পরবির্তিতে মামুন এবং ফরিদ আদালতে ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। জবানবন্দিতে তারা উল্লেখ করেন চাল পাচারের ঘটনায় তাদের সাথে আরো জড়িত ছিলেন সিন্ডিকেট নেতা শহিদুল ইসলাম, জগদিশ দাসসহ দুইজন সরকারি কর্মকর্তা।পরে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য ২১ এপ্রিল যশোর ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মামুনের স্বীকারোক্তি মোতাবেক চাল পাচারের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৮ মে রাতে ডিবি পুলিশের একটি টিম পৌরশহর থেকে সিন্ডিকেট নেতা শহিদুল ইসলামকে আটক করে। পরে শহিদুল ইসলাম আদালতে জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন সরকারি চাল পাচারের ঘটনায় তার সাথে জড়িত ছিলেন উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তি বাচ্চু এবং পাতন-জুড়ারপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি যুবলীগ নেতা রুহুল কুদ্দুস।