সুন্দরবনে আছড়ে পড়ছে আমপান, দিঘাতেও চলছে তাণ্ডব

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ যত সময় যাচ্ছে, ততই দাপট বাড়ছে ঘূর্ণিঝড় আমপান (প্রকৃত উচ্চারণ উম পুন)-এর। বুধবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টির স্থলভূমিতে ঢুকে পড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সেই প্রক্রিয়া শেষ হতে ঘণ্টা চারেক লাগবে বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আমপানের প্রভাবে ইতিমধ্যেই দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক জায়গা থেকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর আসতে শুরু করেছে। বিভিন্ন জায়গায় ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ার পাশাপাশি উপড়ে পড়েছে গাছপালা।উপকূল এলাকায় সমুদ্রে বেড়েছে জলোচ্ছ্বাস। সকাল থেকেই ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয় পশ্চিমবঙ্গে। পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায় প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ের দাপটও বাড়তে থাকে। দিঘায় সকাল থেকেই সমুদ্র উত্তাল। প্রবল জলোচ্ছ্বাস শুরু হয়। গাছপালা ভেঙে পড়ার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি জায়গায় কাঁচাবাড়ি ভেঙে যায়। সমুদ্রবাঁধও কিছু জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে। দিঘার পাশাপাশি তাজপুর, মন্দারমণি, রামনগর, খেজুরিতেও আমপানের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি শুরু হয়। উপকূলীয় অনেক জায়গাতেই বাঁধ ভেঙে সমুদ্রের জল ঢুকে পড়ে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও সকাল থেকে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ, নামখানা, কাকদ্বীপ— সর্বত্র ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে ছিল বৃষ্টি। বেলা বাড়তেই তার দাপট বাড়তে থাকে। ঝড়ের দাপটে ঘড়বাড়ি ভাঙার পাশাপাশি গাছপালা উপড়ে যায়। ঝড়ের দাপট থেকে রক্ষা পায়নি শহর কলকাতাও। বিকাল ৪টে নাগাদ শহরে ঝড়ের দাপট ১০০ পেরিয়ে যায়। যদিও তার ঢের আগে থেকেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গাছ ভেঙে পড়তে শুরু করে। ভেঙে পড়ে রাস্তার পাশের বাতিস্তম্ভও। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে গাড়ির উপর একটি বড় গাছ ভেঙে পড়ে। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই।