মনিরামপুরে ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রতিরোধের ঘটনায় অজ্ঞাত ৪০ ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা

0

স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর (যশোর)॥ মনিরামপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রতিরোধ করে হামলা চালিয়ে দুই আনসার সদস্যকে মারধরের ঘটনায় অজ্ঞাত ৪০ ব্যক্তিকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। এসিল্যান্ড অফিসের সার্ভেয়ার আবদুল মান্নান রবিবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে এ মামলা করেন। তবে পুলিশ এখনও কাউকে আটক করতে পারেনি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবদুর রহমান জানান,নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুফল চন্দ্র গোলদার ১৪ মে রাত সাড়ে আটটার দিকে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে অভিযানে নামেন। এ সময় তার গাড়িতে ছিলেন একজন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী এবং দুইজন আনসার ও ভিডিপি সদস্য। মনিরামপুর পৌর শহর থেকে বেগারীতলা বাজারে যাবার সময় রাস্তার পাশে দোকনপাট খোলা এবং সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না দেখা যায়। ফলে তিনি সবাইকে সামাজিক দূরত্ব মানার জন্য কড়া নির্দেশনা দেন। পরে ফেরার পথে জালঝাড়া মাদ্রাসা মোড়ের সামনে একটি চায়ের দোকানে মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেখানে তার গাড়ি থামান। গাড়ি থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী আবদুস সালাম এবং আনসার সদস্য বিল্লাল হোসেন ও আবু হুরাইরা নেমে দোকান বন্ধসহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কড়াকড়ি করেন। এ সময় হুড়োহুড়ি করে চায়ের দোকানটি বন্ধের সময় একটি টেলিভিশন ভেঙে যায়। এ নিয়ে চা দোকানিসহ উপস্থিত লোকজনের সাথে আনসার সদস্যদের কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ লোকজন আনসার সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। অবশ্য এ সময় অবস্থা বেগতিক দেখে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি সেখান থেকে দ্রুত চলে যায়। পরে বিক্ষুব্ধ লোকজন আনসার সদস্য আবু হুরাইরা এবং বিল্লাল হোসেনকে মারধর করে। এর আগে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী আবদুস সালাম কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরে ফাায়ার সর্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আহত দুইজনকে উদ্ধারের পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান উল্লাহ শরিফী, ওসি রফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মনিরামপুর থানার পরিদর্শক(তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান জানান, এ ব্যাপারে এসিল্যান্ড অফিসের সার্ভেয়ার আবদুল মান্নান অজ্ঞাত ৪০ ব্যক্তির নামে রবিবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে একটি মামলা করেন। তবে এখনও কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।