সুন্দরবনে হরিণ শিকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করে উল্টো বনরক্ষীরাই পাল্টা মামলার আসামি

0

মোংলা (বাগেরহাট) অফিস ॥ পূূর্ব সুন্দরবনে হরিণ শিকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করে উল্টো বনরক্ষীরাই পাল্টা মামলার আসামি হয়েছেন। আসামি শিকারীচক্র মামলা থেকে রেহাই পেতে ঘটনার প্রায় সাড়ে তিন মাস পরে মামলার বাদীসহ ৩ বনরক্ষীর বিরুদ্ধে শরণখোলা থানায় একটি পাল্টা মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় বন বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া হয়েছে। বন বিভাগ সূত্র জানায়, চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি বিকেল ৫ টার দিকে সুন্দরবনের তাম্বুলবুনিয়া টহল ফাঁড়ির বনরক্ষীরা টহলকালে বনের কলামুলা এলাকায় দুইটি ডিঙ্গি নৌকা আটক করে। পরে তারা নৌকা দুইটি তল্লাশি চালিয়ে হরিণ শিকারের ফাঁদ, শিকার নিষিদ্ধ মা কাকড়া ও মাছ ধরার সরঞ্জাম উদ্ধার করে। এ সময় নৌকায় থাকা শিকারীরা আকষ্মিক ভাবে বনরক্ষীদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে মারধর করে পালিয়ে যায়। শিকারীদের হামলায় বনরক্ষী আবুল বাশার ও মোতালেব হোসেন গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনায় ১৭ জানুয়ারি তাম্বুলবুনিয়া টহলফাড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান শরণখোলা থানায় চারজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন বলে এসিএফ জানান। আসামিরা হচ্ছেন, পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলার ধাবড়ী গ্রামের আব্দুল হক শেখের পুত্র ইউসুফ শেখ (৩৫), বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার বাঁশতলা গ্রামের হাছেন মুসুল্লির পুত্র আব্দুল হামিদ মুসুল্লি (৩৫), হানিফ মুসুল্লি (৩৩), আসাদ মুসুল্লি (৩০)। এ মামলায় ইতিমধ্যে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শরণখোলা থানার এসআই স্বপন কুমার জানিয়েছেন। পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই (মোংলা) রেঞ্জ কর্মকর্তা এনামুল হক জানান, শরণখোলা থানায় হরিণ শিকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করায় ঘটনার সাড়ে তিনমাস পরে বন বিভাগের মামলার আসামিদের মামা পরিচয়দানকারী মোংলা উপজেলার মিঠাখালী গ্রামের সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে বনবিভাগের মামলার বাদী তাম্বলবুনিয়া টহল ফাঁড়ির ওসি মিজানুর রহমানসহ বিএম আবুল বাশার ও মোতালেব হোসেনকে আসামি করে বনরক্ষীদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনে গত ১ মে শরণখোলা থানায় একটি পাল্টা মামলা দায়ের করেছে। শরণখোলা থানার ওসি এসকে আব্দুল্লাহ আল সাইদ বলেন, ওই আসামিরা মেডিকেল সনদ নিয়ে এসে মারপিটের অভিযোগ দেওয়ায় মামলা নেওয়া হয়েছে। এ মামলার তদন্ত চলছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া না গেলে আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়া হবে।