মহেশপুরে কারাবন্দী মাদক ব্যবসায়ীর স্ত্রী আরেক মাদক ব্যবসায়ীর হাতে খুন

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় এক মাদক ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে অপর এক মাদক ব্যবসায়ী গলা কেটে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। টাকা লেনদেনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। খুন হওয়া রহিমা বেগম ওরফে রতœা (২২) মহেশপুরের কৃষ্ণপুর বদ্দিনাথপুরের মাদক ব্যবসায়ী রমজান আলীর স্ত্রী। মাদক মামলায় তিনি জেলহাজতে রয়েছেন।
মৃতার মাতা তাসলিমা বেগম, মামা জাকির হোসেন জানিয়েছেন, গত শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে দুর্বৃত্তরা রতœার ঘাড়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে বাড়ির উঠানে ফেলে রেখে যায়। তার মাতা তাসলিমা বেগম সেহেরি খাওয়ার জন ডাকতে গিয়ে দেখতে পান রতœা পড়ে আছে। দ্রুত তাকে উদ্ধার করার পর রাতেই যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রচুর রক্তক্ষরণের ফেলে তার অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়ে। কিন্তু হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে কোন রক্ত পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় রহিমা ওরফে রতœা মৃত্যুবরণ করেন। রতœা একই গ্রামের নুর মোহাম্মদের কন্যা। ৫ বছর আগে রমজান আলীর সাথে তার বিয়ে হয়। রোহান নামে তার দেড় বছর বয়সের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, রমজান আলী ও তার মামা নান্নু এক সাথে মাদক ব্যবসা করতো। দু’বিঘা জমি বিক্রি করে রমজান আলী নান্নুকে কয়েক লাখ টাকা কর্জ দিয়েছেন। এ টাকা না দেয়ার কারণে নান্নুর সাথে রমজান আলীর বিরোধ বাধে। এ অবস্থায় আত্মীয়-স্বজনদের চাপে পড়ে রমজান আলী তার মাদক ব্যবসা ত্যাগ করে। কিন্তু তার টাকা থেকে যায় নান্নুর কাছে। স্বজনরা জানিয়েছেন, পাওনা টাকা যাতে পরিশোধ করতে না হয় সে জন্য নান্নু ষড়যন্ত্র শুরু করে রমজান আলীর বিরুদ্ধে। বাড়িতে মাদক রেখে নান্নু নিজে পুলিশ দিয়ে রমজান আলীকে ধরিয়ে দেয়। ওই মামলায় রমজান আলী দু’মাস ধরে জেল হাজতে রয়েছে। এ সময় রতœা পাওনা টাকার জন্য মাদক ব্যবসায়ী নান্নুকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। সুযোগ বুঝে নান্নু রতœাকে হত্যা করেছে। এ ব্যাপারে যশোর কোতয়ালি থানায় জিডি হয়েছে। গতকাল যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্ত শেষে স্বজনরা তার লাশ বাড়িতে নিয়ে যান।