যশোরে নারীর ফাঁদে ফেলে আদালতের কর্মচারীকে আটকে চাঁদা দাবি,আটক ২

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরে একটি প্রতারকচক্র মাসুম বিল্লাল (৩৩) নামে আদালতের একজন কর্মচারীকে নারীর ফাঁদে ফেলে আটকে রেখে অর্ধলাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিলো। পরে পুলিশ ওই চক্রের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করেছে। এ সময় প্রতারকচক্রের ২ সদস্য পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার যশোর শহরের পুরাতন কসবা নিরিবিলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার আটক দুজনকে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
মনিরামপুর উপজেলার ভরতপুর গ্রামের শওকত আলীর ছেলে মাসুম বিল্লালের অভিযোগ, তিনি যশোরে জজ আদালতে এমএলএসএস পদে চাকরি করেন। চাকরির সুবিধার্থে তিনি শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডে রাজেক আহমেদের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। ৬ মাস আগে নীলগঞ্জ এলাকার আব্দুর রহমানের মেয়ে মিনা’র (৪০) সাথে তার পরিচয় হয়। মাঝে মধ্যে দু জনে দেখা করতেন এবং মোবাইল ফোনে কথা হতো তাদের। গত ১৪ মে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে মিনা মোবাইল ফোন করে তাকে পুরাতন কসবা নিরিবিলি এলাকায় দেখা করতে বলেন। পরে তিনি সেখানে গেলে তাকে মৃত কাজী আব্দুস সাত্তার দুলালের ছেলে কাজী হাসান নাছির মিতুর একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। এ সময় মিনা, কাজী হাসান নাছির মিতু, তার ভাই কাজী সাজ্জাদ জহির তিতু, কাজী হাসান বছির ঋতু এবং ইউনুস শেখের ছেলে জুয়েল শেখ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তারা তাকে বেধড়ক মারধর করেন। পরে তারা তার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে স্ত্রী পারভীনাসহ পরিবারের লোকজনের কাছে চাঁদা দাবি করেন। পরে তার স্ত্রী এ বিষয়টি কোতয়ালি থানার পুলিশকে জানান। এরপর বিকেল সোয়া চারটার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে কাজী হাসান নাছির মিতুর ঘর থেকে তাকে উদ্ধার করে। এ সময় ওই চক্রের সদস্য কাজী সাজ্জাদ জহির তিতু এবং জুয়েল শেখকে পুলিশ হাতেনাতে আটক করে। তবে অন্যরা কৌশলে পালিয়ে যায়।
কোতয়ালি থানা পুলিশের এসআই কামাল হোসেন জানান, প্রতারক ও চাঁদাবাজ চক্রের ২ সদস্যকে তারা হাতেনাতে আটক করেছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার আটক দুজনকে আদালতে সোপর্দ করে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ড নামঞ্জুর করেছেন।