শার্শা (যশোর) সংবাদদাতা ॥ ভারতে চিকিৎসা, ব্যবসা ও বেড়াতে গিয়ে লকডাউনে আটকে পড়া পাসপোর্টযাত্রীদের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন নিয়ম উঠিয়ে দিয়ে যার যার বাড়িতে হোম কোয়রেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সেই মোতাবেক আগতদের বাড়িতে পাঠানো হচ্ছে। তবে কারও শরীরে যদি করোনা উপসর্গ থাকে তাকে অবশ্য যেতে দেওয়া হবে না। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার থেকে বাধ্যতামূলক নিয়ম বাতিল ঘোষণা করা হয়। জানা যায়, এর আগে ভারত থেকে যারা ফিরছিলেন করোনা সংক্রমণ রোধে তাদেরকে নিজ নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু তারা নিয়ম না মানায় হোম কোয়ারেন্টাইন নিয়ম বাতিল করে সরকারি তত্ত্বাবধানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন চালু হয়। গত ৬ মার্চ থেকে ভারত ফেরত যাত্রীরা সবাই বেনাপোল পৌর বিয়ে বাড়ি ও যশোর গাজীর দরগা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ১৪ দিন অবস্থান করছিলেন। পরে ঝুঁকিমুক্ত হলে বাড়ি ফিরছিলেন। ১৩ মে, সরকারি নতুন নির্দেশনা জারিতে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত কারও শরীরে করোনা উপসর্গ না থাকলে তারা নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। এতে সকলে বাড়িতে ফিরতে পারবে। বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার আবু তাহের জানান, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক যাত্রীদের হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন নির্ধারণ করা হচ্ছে। গত ১৩ মে পর্যন্ত যারা ফিরেছেন তাদের কারও শরীরে করোনার কোন উপসর্গ না থাকলেও সবাইকে ১৪ দিনের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছিল। এখন সবাইকে নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে কারও করোনা সন্দেহজনক হলে তাকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। যারা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন তারা নিয়ম মানছেন কিনা তা নিয়মিত খোঁজ খবর নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, গত ৩৬ দিনে বেনাপোল স্থলপথে ভারত থেকে ফিরেছেন নারী,পুরুষ ও শিশুসহ ৩ হাজার ৫২৪ জন। এরা সবাই ছিলেন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে। তবে ফেরার সময় এরা সবাই ছিলেন করোনা সংক্রমণমুক্ত।