করোনার কিছু চিকিৎসায় ইতিবাচক ফল মিলছে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ করোনা ভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে কিছু চিকিৎসায় ইতিবাচক ফল দেখা যাচ্ছে। ওই চিকিৎসাগুলোয় করোনার জটিলতা কমছে, অপেক্ষাকৃত দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন রোগীরা। মঙ্গলবার এমন তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এরকম চিকিৎসাপদ্ধতির মধ্যে পাঁচ-ছয়টি নিয়ে আরো তথ্য সংগ্রহে জোর দিচ্ছে সংস্থাটি। তবে ঠিক কোন কোন চিকিৎসাপদ্ধতিতে এমন ইতিবাচক সাড়া মিলেছে তা উল্লেখ করেনি তারা। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্স জানায়, বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের টিকা ও ওষুধ তৈরিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গত ১৮ই মার্চ থেকে বিশ্বজুড়ে আয়োজন করেছে সম্ভাব্য ওষুধ বা টিকার ‘সলিডারিটি ট্রায়াল’। এই উদ্যোগে অংশ নিয়ে শতাধিক দেশ। উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ২ লাখ ৮৬ হাজারের মানুষ। নিশ্চিত আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৪২ লাখ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র মারগারেট হ্যারিস মঙ্গলবার এক সম্মেলনে জানান, গবেষণার প্রাথমিক পর্যায়ে থাকা কিছু চিকিৎসায় রোগটির জটিলতা সীমিত হচ্ছে ও রোগীরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন। কিন্তু এখনো এমন কিছু আবিষ্কার হয়নি যেট ভাইরাসটিকে মেরে ফেলতে পারে বা থামিয়ে দিতে পারে। তিনি আরো বলেন, আমরা ইতিবাচক তথ্য পাচ্ছি। তবে কোনো চিকিৎসাপদ্ধতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে শতভাগ নিশ্চিত হতে আমাদের আরো তথ্য প্রয়োজন। এজন্য আরো গবেষণা ও পরিকল্পনা লাগবে।
হ্যারিস তার বক্তব্যে কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসার কথা উল্লেখ করেননি। তবে বর্তমানে বিশ্বজুড়ে বহু দেশ ও প্রতিষ্ঠান করোনার টিকা ও ওষুধ তৈরিতে কাজ করছে। বেশ কয়েকটি টিকা ও ওষুধের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা চলছে। এর মধ্যে গিলিয়াড সায়েন্স ইনকরপোরেশনের রেমডেভিসিরও রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, রেমডেসিভির প্রয়োগে রোগীদের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। বাংলাদেশেও একাধিক প্রতিষ্ঠান ওষুধটি উৎপাদনের ঘোষণা দিয়েছে। হ্যারিস তার বক্তব্যে সতর্ক করে বলেন যে, করোনা ভাইরাসগুলো সচরাচর খুবই ‘চতুর ঘরানার ভাইরাস’ হয়ে থাকে। এদের বিরুদ্ধে টিকা তৈরি খুবই কঠিন কাজ। অতি শিগগিরই কোনো টিকা পাওয়ার সম্ভাবনা কম। তিনি আরো জানান, বর্তমানে করোনার কেন্দ্রস্থল হচ্ছে দুই আমেরিকা মহাদেশ। আফ্রিকা মহাদেশ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। তবে জানান যে, অন্যান্য মহাদেশের তুলনায় করোনা মোকাবিলায় আফ্রিকা বেশ এগিয়ে রয়েছে। মহাদেশটির অন্যান্য সংক্রামক রোগ মোকাবিলার অভিজ্ঞতা রয়েছে।