ভার্চুয়াল কোর্টের মাধ্যমে সারাদেশে ১০৪ জনের জামিন

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ভার্চুয়াল কোর্টের মাধ্যমে দেশের সাতটি বিভাগের নিম্ন আদালতে ১৫৭টি মামলায় ১০৪ জন জামিন পেয়েছেন। আর কারামুক্ত হয়েছেন ১৪৪ জন আসামি। মঙ্গলবার (১২ মে) সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার ব্যারিস্টার মো. সাইফুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এসব জামিন আবেদনের মধ্যে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত ৪টি মামলার শুনানি নিয়ে ৪ জনের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন। পাশাপাশি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত ১৯টি মামলার শুনানি নিয়ে ৩৪ জনকে জামিন দিয়েছেন।
নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিজেএম) মোট জামিনের আবেদন জমা পড়ে ২০টি। এর মধ্যে ১০টির শুনানি নিয়ে ৪ জনের জামিন মঞ্জুর করা হয়। কুমিল্লার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ৭টি মামলার মধ্যে ২টির শুনানি হয়েছে। একটিতে একজনের জামিন মঞ্জুর এবং অপরটি খারিজ করা হয়েছে। ফেনীর সিজেএম আদালতে ২২টি আবেদনের মধ্যে ৩টির শুনানি শেষে ৬ জনকে জামিন দেওয়া হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সিজেএম আদালতে মোট আবেদন জমা পড়েছে ২০০টি। এর মধ্যে ২টি মামলার শুনানি শেষে ২ জন জামিন পেয়েছেন।
দিনাজপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালত ৮টি মামলার শুনানি নিয়ে ৬টি আবেদন মঞ্জুর করে ৬ জনকে জামিন দিয়েছেন আদালত। অপর ২টি আবেদন খারিজ করা হয়। দিনাজপুর সিজেএম আদালতে মোট আবেদন পড়েছে ৮০টি। এরমধ্যে ২৬টির শুনানি শেষে ২০টিতে ২৪ জনকে জামিন দিয়েছেন আদালত। খারিজ করা হয় ৬টি আবেদন। ঠাকুরগাঁও সিজেএম আদালতে একটি আবেদন মঞ্জুর করে একজনকে জামিন দেওয়া হয়েছে। খারিজ করা হয়েছে তিনটি আবেদন।
সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ৫টির শুনানি নিয়ে তিনটি আবেদন খারিজ করা হয়েছে। অপর দুই মামলায় ২ জনকে জামিন দেন আদালত। সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালত ৮ আবেদনের মধ্যে ২টি মঞ্জুর করে ৮ জনকে জামিন দিয়েছেন। সিলেট সিজেএম আদালতে ৯টির শুনানি নিয়ে ৮টিতে ১৫ জনকে জামিন দেওয়া হয়। সিলেট সিএমএম আদালতে ১৩টি আবেদনের শুনানি নিয়ে ৭টিতে ৭ জনের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। খারিজ করা হয়েছে ৬টি আবেদন। সিলেট শিশু আদালতে একটি আবেদ র শুনানি নিয়ে এক শিশুকে জামিন দেওয়া হয়েছে। সুনামগঞ্জ সিজেএম আদালতে ৮টি আবেদনের শুনানি নিয়ে ৫টি মঞ্জুর করে ৫ জনকে জামিন দেওয়া হয়েছে। বাকি তিনটি আবেদন খারিজ করা হয়েছে। নেত্রকোনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত ৪টি আবেদনের শুনানি নিয়ে ৪ জনকে জামিন দিয়েছেন আদালত। নেত্রকোনা সিজেএম আদালতে তিনটি আবেদনের শুনানি নিয়ে ৪ জনকে জামিন দেওয়া হয়েছে। মাগুরা সিজেএম আদালত ১৫টি আবেদনের মধ্যে ১৩টি মঞ্জুর করে ১৮ জনকে জামিন দিয়েছেন। বাকি দুটি খারিজ করা হয়েছে।