চৌগাছা বাজারে মানুষের ঢল উপেক্ষিত সামাজিক দূরত্ব

0

স্টাফ রিপোর্টার, চৌগাছা (যশোর) ॥ চৌগাছা উপজেলা সদরে সব শ্রেণিপেশার মানুষের সরব উপস্থিতি সকলকে ভাবিয়ে তুলেছে। সরকারের নির্দেশক্রমে রবিবার থেকে স্বল্প পরিসরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার খবরে মানুষ বাজারে আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সোমবার ছিল চৌগাছার সাপ্তাহিক হাটের দিন। খুব সকাল থেকে বাজারে মানুষ আসার যেন অসম প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে তা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। বাজারের অবস্থা দেখে বুঝার উপাই নেই দেশের মানুষ কারেনাভাইরাসে আক্রান্ত। উপজেলা সদরে প্রবেশের মূল সড়ক চৌগাছা-যশোর, চৌগাছা-ঝিকরগাছা, চৌগাছা-কোটচাঁদপুর, চৌগাছা-মহেশপুর সড়কগুলো ছিল মানুষের দখলে।
দীর্ঘ দেড় মাস মানুষ সে ভাবে ঘরের বাইরে বের হতে না পারায় এই জনস্্েরাত বলে অনেকের সাথে কথা বলে জানা গেছে। এ দিন বাজারে মানুষের উপস্থিতি ছিল যেমন বেশি, তেমনি সকল ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল খোলা, সবজি বাজারেও ছিল সব ধরনের সবজির ব্যাপক সমারোহ। মানুষের উপস্থিতি এতটাই বেশি ছিল যে, একজন আরেকজন গায়ে গায়ে দাঁড়ানো, ছিল না কোন নিরাপদ দূরত্ব, ছিল না স্বাস্থ্য সচেতনতা। মানুষের একে অপরের সাথে মেলামেশা দেখে অনেকেই মনে করেছেন করোনা নামক কোনো ভাইরাস হয়ত চৌগাছা এলাকায় দেখা দেয়নি। বাজারের বস্ত্র ব্যবসায়ী আজিজুুর রহমান জানান, দুই মাসের বেশি সময় ঘর ছিল বন্ধ। সরকার ঘোষণা দিয়েছে তাই ঘর খুলেছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বেচাকেনার চেষ্টা করছি। প্রসাধনী ব্যবসায়ী উজ্জল হোসেন বলেন, অনেক দিন পর ঘর খুলেছি, মানুষের উপস্থিতিও ভালো, তাই বেচাকেনা ভালো হবে বলে তিনি আশা করছেন। মুদি দোকানে সদয় কিনতে দাঁড়িয়ে থাকা হযরত আলী বলেন, কিছুই করার নেই, কেউ তো কথা শুনছে না, যে যেমন ভাবে পারছে দাঁড়িয়ে পণ্য সামগ্রী নিয়ে চলে যাচ্ছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা ও বাজারে জনসাধারণের উপস্থিতির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সকলকে আবারও ভেবে দেখা জরুরি বলে এলাকাবাসী মনে করছেন।