ডুমুরিয়ার ক্লিনিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা

0

ডুমুরিয়া (খুলনা ) সংবাদদাতা ॥ ডুমুরিয়ার একটি প্রাইভেট কিনিক লকডাউন ঘোষণা এবং কিনিক মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সূত্র জানায়, উপজেলার চুকনগর শহরের সাতক্ষীরা মহাসড়কে অবস্থিত হালিমা মেমোরিয়াল নার্সিং হোম অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। রবিবার রাতে লকডাউন অমান্য করে সাতক্ষীরা জেলা থেকে ডাক্তার এসে রোগীকে অস্ত্রোপচার করেন। এমন সংবাদ পেয়ে রাত ৯টার দিকে সেখানে অভিযান চালান ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. শাহনাজ বেগম। এ সময় তিনি জানতে পারেন সাতক্ষীরার একটি বে-সরকারি সংস্থা ঋ-শিল্পিতে কর্মরত মেডিকেল অফিসার ডা. বরকত আলী সেখানে .অস্ত্রোপচার করেছেন। তবে ভ্রাম্যমাণ আদালত আসার আগেই ডা. বরকত আলী পালিয়ে যান। উল্লেখ্য, ঋ-শিল্পির এক কর্মকর্তা কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছেন। এ অবস্থায় ডা. বরকত আলীকেও হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা। কিন্তু তিনি আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার আশায় অস্ত্রোপচার করতে চলে আসেন। এমন পরিস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত, কিনিক মালিক পল্লী চিকিৎসক কামাল হোসেনের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন এবং কিনিক ১৪ দিনের জন্যে লকডাউন ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে কিনিক মালিক কামাল হোসেন বলেন, আমি এত কিছু জানতাম না। ঘটনার সময় কিনিকে আমি সহ ৬/৭ জন উপস্থিত ছিলাম, তারা সকলেই লকডাউনে আছে। রবিবার রাতে রোগী দেখতে যাওয়া এবং সোমবার সকালে কিনিকের তালা খুলে রোগী ও দর্শনার্থীদের ভেতরে ঢোকানোর কথাও অস্বীকার করেন তিনি।