ডিজিটাল কৃষি সম্প্রসারণ উদ্যোগে আত্মবিশ্বাসী হচ্ছে চুয়াডাঙ্গার কৃষক

0

রিফাত রহমান,চুয়াডাঙ্গা ॥ ‘কোন পোকার জন্য কোন কীটনাশক, কোন সময় সেচ দিতে হবে, ফসলের ক্ষেতে কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না, এ সব সমস্যার সমাধান ফসলের ক্ষেতে দাঁড়িয়েই মোবাইল ফোন কল বা মেসেজের মাধ্যমে পেয়ে যাচ্ছেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের হানুরবাড়াদি গ্রামের কৃষক স্বপন আলী। তিনি মুখীকচু, শসা, তরমুজ ও ধান মিলিয়ে আট বিঘা জমির আবাদ করেছেন। একই গ্রামের দলিলউদ্দিন তাঁর হাতের স্মার্ট ফোন দেখিয়ে বললেন কৃষি বিষয়ক কয়েক শ ভিডিও সেভ করা আছে এখানে। ইউটিউবে নতুন নতুন কৃষিভিত্তিক ভিডিও প্রতিবেদন দেখে কৃষিকাজে অনেক উপকার পাচ্ছেন বলে জানান তিনি। গাড়াবাড়ীয়া গ্রাামের কৃষক আব্দুল কাদের জানান-‘ উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আমাদের গ্রামে কৃষক সংগঠন ও ডিজিটাল কৃষি পাঠাগার স্থাপন করা হয়েছে। ডিজিটাল কৃষি পাঠাগারে সদর উপজেলা কৃষি অফিসার ৩২ ইঞ্চি এলইডি টিভি দিয়েছেন। সেখানে আমরা পেনড্রাইভ দিয়ে কৃষি বিষয়ক ভিডিও দেখি সবাই। বিভিন্ন টিভি চ্যনেলে কৃষি বিষয়ক সংবাদ দেখি। কৃষি কথা ও বই পুস্তক পড়ি। এটা আমাদের খুব কাজে লাগছে।’ পৌর শহরের শিতি কৃষি উদ্যোক্তা হাফেজ আব্দুল কাদের সোহান তাঁর স্মার্ট ফোন দেখিয়ে বলেন-‘ কৃষি অফিস থেকে আমার মোবাইল ফোনে কয়েকটা অ্যাপস দিয়েছে সেগুলো দেখে দেখে আমি বাগানের পরিচর্যা করি।’ এভাবে মোবাইল ফোন ও সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারে করোনাকালীন বিপর্যয়ের সময়েও কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন কৃষকেরা। কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ আফরিন বিনতে আজিজ জানান, তারা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপসহকারী অফিসারদের সঙ্গে যোগাযোগ ও সাপ্তাহিক মিটিং আয়োজন করছেন নিয়মিত। কিছু কিছু আধুনিক কৃষক ভিডিও কল ও গাছের ছবি পাঠিয়ে পরামর্শ নিচ্ছেন।