খুলনা সংবাদদাতা॥ খুলনা মহানগরীর প্রাণকেন্দ্র ডাকবাংলো এলাকার ১৭টি মার্কেট রোববার (১০ মে) থেকে খোলা হয়েছে। প্রথম দিনেই প্রায় প্রতিটি মার্কেটে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এসব মার্কেটে করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দূরত্ব মানার কথা বলা হলেও বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি। ফলে সংক্রমণ বাড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
এদিকে, খুলনার কেডিএ নিউ মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। রোববার এক বৈঠকে তারা ঈদের আগে নিউ মার্কেট না খোলার সিদ্ধান্ত নেয়। এছাড়া নগরীর অন্যান্য শপিংমলগুলোও এখনও খোলেনি। রোববার থেকে খুলে দেওয়া মার্কেটগুলো হচ্ছে, খুলনা শপিং কমপ্লেক্স, দরবেশ চেম্বার ও নিক্সন মার্কেটসহ খুলনা রেলওয়ে সড়কের ১১টি মার্কেট, খুলনা বিপণিকেন্দ্র, খুলনা বিপণিবিতান ইত্যাদি। সকাল থেকে এসব মার্কেট খোলার পরপরই ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়ে। মার্কেটে ভিড়ের কারণে নগরীর বহু সড়কে যানজট লেগে যায়। যানবাহনের ভিড়ে পথচারীরাও যাতায়াতে দুর্ভোগে পড়ে।
খুলনা বিপণিকেন্দ্র দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মাসুম বলেন, প্রতিটি মার্কেটের সামনে হাত ধোঁয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। দোকানের কর্মীরাও মাস্ক ও গ্লাভস পরে দোকানে এসেছেন। মার্কেট এলাকায় গাড়িও প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। খুলনা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি কাজী আমিনুল হক বলেন, মার্কেট খোলা বা বন্ধ রাখার জন্য কাউকে জোর করা হয়নি। যারা দোকান খুলেছেন, অবশ্যই তাদের স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা মানতে হবে। এদিকে, ঈদুল ফিতরের আগে খুলছে না অভিজাতদের কেনাকাটাস্থল খুলনা নিউ মার্কেট। রোববার দুপুরে অনুষ্ঠিত খুলনা নিউ মার্কেটের ব্যবাসায়ীদের সভায় ঈদের আগ পর্যন্ত মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের পরিস্থিতিতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো বলে জানিয়েছেন নিউ মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল গফফার বিশ্বাস।