দ. কোরিয়ায় নাইটক্লাবে সংক্রমণ, করোনা পুনরুত্থানের আশঙ্কা

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥দক্ষিণ কোরিয়ায় ফের বাড়ছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ। দেশজুড়ে জারি করা লকডাউন শিথিল হওয়ার পর আচমকা দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। রোববার দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা নতুন ৩৪ জন আক্রান্ত শনাক্তের কথা জানিয়েছেন। এক মাসের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের ঘটনা এটি। এমতাবস্থায় দেশটিতে করোনার দ্বিতীয় দফা সংক্রমণ শুরুর আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন। রোববার এক বক্তব্যে তিনি বলেন, এই ভাইরাস পুরোপুরি শেষ না হওয়া অবধি ক্ষান্ত নেই। এই নতুন সংক্রমণ প্রমাণ করে যে, এটি যেকোনো সময়ে যেকোনো স্থানে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
কোরিয়া সেন্টারস ফর ডিজিস কনট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (কেসিডিসি) জানিয়েছে, সম্প্রতি রাজধানী সিউলের কয়েকটি নাইটক্লাবে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এক মাসের বেশি সময়ের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ধরা পড়েছে রোববার। তবে নতুন কোনো মৃত্যু হয়নি। মৃতের সংখ্যা এখনো ২৫৬ জনই রয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ রাজধানী ও এর আশপাশে সকল নাইটক্লাব বন্ধ ঘোষণা করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী পার্ক নিয়ুং-হু জানান, আগামী ১৩ই মে দেশজুড়ে স্কুল খুলে দেয়ার পরিকল্পনা ছিল সরকারের। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় সে সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আসতে পারে। নাইটক্লাব থেকে সংক্রমণ কী পর্যায়ে ছড়িয়েছে তা দুই-একদিন খতিয়ে দেখার পর সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছর চীনের উহান থেকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস। চীনের পর এ অঞ্চলে দ্বিতীয় বৃহত্তম সংক্রমণ হয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়ায়। তবে দেশটি কঠোর ও দ্রুত পদক্ষেপের মাধ্যমে ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে। সম্প্রতি দেশজুড়ে শিথিল করা হয়েছে লকডাউন। তবে এ সুযোগে ভাইরাসটি ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় দক্ষিণ কোরিয়ায়া দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা গড়ে ১০ বা তারও কম ছিল। গত ১০ দিনে স্থানীয় সংক্রমণ একবারও ১০ জনের বেশি পৌঁছায়নি। রোববার ওই সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। রয়টার্স জানায়, সম্প্রতি সিউলের এক নাইটক্লাবে গিয়েছিলেন এক যুবক। গত সপ্তাহে তার শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। রোববার দেশটিতে মোট ৩৪ জন আক্রান্তের মধ্যে ২৬ জনই স্থানীয় সংক্রমণের শিকার। তাদের মধ্যে অন্তত ২৪ জনের শরীরেই ওই ব্যক্তির মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কেসিডিসি অনুসারে, রোববারের হিসাবসহ ওই নাইটক্লাব সংশ্লিষ্ট সংক্রমণের সংখ্যা ৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে। তারা ওই নাইটক্লাবগুলোয় গমনকারী প্রায় ১ হাজার ৯০০ মানুষকে খুঁজে বের করে পরীক্ষা করছে। এ সংখ্যা বেড়ে ৭ হাজারে পৌঁছতে পারে।