যশোরে ফের ৫ মদ ব্যবসায়ী আটক দু’জনের মুত্যুর মামলায় রিমান্ড

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরে ভেজাল মদের ব্যবসার সাথে জড়িত ৫ জনকে ফের আটক করেছে পুলিশ। মদপানে শরীফ উদ্দিন মুন্না ও ফজলুর রহমান চুক্কির মৃত্যুর দুটি মামলায় তাদের আটক দেখিয়ে শনিবার আদালতে সোপর্দ এবং ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়। শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শম্পা বসু দুটি মামলায় একসাথে তাদের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
আটক ভেজাল মদ ব্যবসায়ীরা হচ্ছেন-যশোর সদর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের মৃত দ্বীন আলী বিশ্বাসের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক, সদর উপজেলার সীতারামপুর গ্রামের নরেন পালের ছেলে পিন্টু পাল, শহরের হাটখোলা রোডের মৃত গোলাম বিশ্বাসের ছেলে আবু বক্কার রতন, ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের জামাল মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া চান খাঁ এবং উমেশ চন্দ্র লেন (হোমিওপ্যাথিক কলেজের পিছনে) মৃত কওছার শেখের ছেলে আব্দুল শেখ। গত ৭ মে কোতয়ালি থানা পুলিশের এসআই হারুন অর রশিদ তাদেরকে প্রথম আটক করেছিলেন। ভেজাল মদপানে শহরতলীর খন্দকার শাহিন আলমের মৃত্যুর মামলায় তাদেরকে আটক দেখিয়ে ৮ মে শুক্রবার তিনি আদালতে সোপর্দ করেন। কিন্তু পরে তারা আদালত থেকে জামিন পেয়ে যান। এরপর ফের তাদেরকে আটক করে পুলিশ। শনিবার তাদেরকে মদপানে ঘোপের শরীফ উদ্দিন মুন্না এবং বালিয়াডাঙ্গা মান্দারতলার ফজলুর রহমান চুক্কির মৃত্যুর মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভেজাল মদপানে শরীফ উদ্দিন মুন্নার মুত্যুর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর ফাঁড়ি পুলিশের এসআই কাইয়ুম মুন্সী এবং ফজলুর রহমান চুক্কির মৃত্যুর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শরিফুল ইসলাম আদালতে আলাদভাবে ৫ জনের প্রত্যেকের ৫ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন। এ সময় শুনানি শেষে বিচারক দুটি মামলায় একসাথে তাদের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। উল্লেখ্য, ভেজাল অথবা বিষাক্ত মদপানে সম্প্রতি যশোর জেলায় ১৭ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে সদর উপজেলায় মারা যায় ১০ জন। মদপানে ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনায় কোতয়ালি থানায় আলাদা তিনটি মামলা ছাড়াও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আরো দুটি মামলা হয়েছে।