ঝিনাইদহে হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা জিআর প্রকল্পের চালে পোকা!

0

আসিফ কাজল, ঝিনাইদহ ॥ করোনা সহায়তায় হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরণকৃত জেনারেল রিলিফ (জিআর) প্রকল্পের চালে পোকা পাওয়া গেছে। এছাড়া গুদাম থেকে যে চাল সরবরাহ করা হয়েছে তা ডাস্টযুক্ত বলে কয়েকজন হতদরিদ্র অভিযোগ করেন। পোকাওয়ালা চাল নিয়ে কতিপয় চেয়ারম্যান ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
শনিবার ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটী ইউনিয়নে জিআর প্রকল্পের ৫ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়। এই চালে পোকার অস্তিত্ব মিলেছে। ঝিনাইদহ সদরের হাটগোপালপুর খাদ্যগুদাম থেকে এই চাল সরবরাহ করা হয় বলে জানা গেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে হাটগোপলপুর খাদ্য সরবরাহ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এলএসডি) মাসুদ রানা জানিয়েছেন তিনি নতুন যোগদান করেছেন। তাই চালের মান নিয়ে কিছুই বলতে পারবেন না। তবে গুদামে রক্ষিত চালের যতœ করার জন্য নিয়মিত স্প্রে করা হচ্ছে। আশা করা যায় ভবিষ্যতের চাল ভাল হবে। তিনি আরও বলেন চালের মান ভাল। তবে কিছু বস্তায় পোকা হয়ে গেছে। এদিকে অভিযোগ উঠেছে হাটগোপলপুর খাদ্য গুদামের সাবেক ওসি (এলএসডি) সদর উদ্দীন ব্যাপকহারে নি¤œমানের চাল কিনে গেছেন। তিনি চালের কোনো যতœ করতেন না। এছাড়া তিনি ধানের পরিবর্তে চাল কিনে সরকারের আর্থিক ক্ষতিসাধন করেছেন। বিষয়টি জানাজানি হলে দুর্নীতির দায়ে তাকে নড়াইলের লোহাগড়ায় এরিয়া পরিদর্শক হিসেবে বদলি করা হয়। তিনি ওসির (এলএসডি) দায়িত্ব পালনে বয়স না থাকলেও খাদ্য বিভাগের অসাধু কর্মকর্তাদের সহায়তায় নির্বিঘেœ এই দায়িত্ব পালন করে গেছেন বলে অভিযোগ। দুর্নীতি ধরার পর তিনি ঘাটে ঘাটে টাকা দিয়েও রক্ষা পাননি বলে অভিযোগ। সাধুহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী নাজির উদ্দীন চালে পোকা থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, দেখে মনে হচ্ছে চালগুলো পুরানো, তবে খাওয়ার উপযোগী। হাটগোপলপুর খাদ্য গুদামের সাবেক ওসি (এলএসডি) মাসুদ রানা জানান, কুমড়াবাড়িয়া ও সাধুহাটীসহ ৪ জন ইউপি চেয়ারম্যান চাল উত্তোলন করেছেন। বাকি ১৩টি ইউনিয়নের চাল গুদামে আছে। চালগুলো দ্রুত নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তিনি বলেন সাধুহাটী ইউনিয়নে যে চাল দেওয়া হয়েছে তা এক বছরের পুরানো হলেও মান ভাল। তিনি বলেন, পোকার হাত থেকে চাল রক্ষার জন্য এখন প্রতিদিন স্প্রে করা হচ্ছে।