চৌগাছায় বৃষ্টির পানিতে ভাসছে ধান, মহাবিপাকে কৃষক

0

এম এ রহিম চৌগাছা (যশোর)॥ যশোরের চৌগাছায় বৃষ্টির পানিতে ভাষসে কৃষকের ধান মহাবিপাকে চাষী। বোর ধান ঘরে তুলতে এক প্রকার নাজেহাল হচ্ছেন কৃষকরা। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাতে উপজেলার কয়েকহাজার হেক্টর ধান ক্ষেতে পানি বেঁধে গেছে তাই ধান কেটে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা।
দিন-রাত পরিশ্রম করে কৃষকেরা সোনালী বোর ধান ফলিয়েছেন। সে ধান ঘরে তুলতে গিয়ে বৃষ্টির পানি গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে। হাজার হাজার কৃষকের সেই সোনালী স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার কওে দিয়েছে ।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে পৌরসভাসহ ১১ টি ইউনিয়নে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৭ হাজার ৮শ ২০ হেক্টর। যার সম্ভাব্য উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৬ হাজার ৯শ ২০ মেট্রিকটন। কিন্তু ফলন ভালো হলেও বৈরি আবহাওয়ার কারণে উৎপাদন লক্ষমাত্রা কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষি বিভাগ। ধান কাটার ভরা মৌসুমে টানা কয়েকদিনের বৃষ্টি, আর প্রবল বজ্রপাতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে উপজেলার কৃষকরা। এক দিকে করোনাভাইরাস অন্যদিকে বজ্রপাত আতঙ্কে ধান কাটার শ্রমিকের মহা সংকট দেখা দিয়েছে। কৃষকের সোনালী স্বপ্ন বোর ধান বাড়ি গোলায় তুলতে পরিবারের নারী-পুরুষ সকলেই হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের পরও নিদারুণ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কৃষকরে চোখের সামনেই পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে রক্তপানি করে ফলানো ধান। ফলে কৃষকের আর্তনাদে ভারী হচ্ছে ধান মাঠের বাতাস। তাদের চোখে-মুখে ও আঁধার জেকে বসেছে। বুকে জমছে ফসল হারানোর চাপা কান্না।
গতকাল কয়েক দিনের ঝড়-বৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ধান মাটিতে পড়ে গেছে, আবার কোথাও কাটা ধান ভাসছে হাটু পানিতে, ঝড়ে ঝরে গেছে ধান, কোথাও ভারী বৃষ্টিতে পানির নিচে তলিয়ে গেছে পাকা ধান। শনিবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুওে দেখা গেছে ক্ষেতের কাটা-ভেজা ধানের শীষ জড়িয়ে ধরে কৃষক কানান্নায় ভেঙ্গে পড়েছে। এ সময় কথা হয় ধান চাষী উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামর হোসেন আলী, আবু সালাম, রিজাউল ইসলাম, জাকির হোসেন, আবু তালেবসহ কয়েকজনের সাথে। তারা জানান, উৎপাদন খরচ বাদে বৃষ্টির কারণে এক বিঘা জমির ধান ঘরে তুলতে অতিরিক্ত ৪/৫ হাজার টাকা খরচ হবে। মণপ্রতি ১ হাজার টাকার উপরে ধান বিক্রি করতে না পারলে কৃষকের লেকাসান হবে। সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে সরকারের ন্যায্য মুল্যে ধান ক্রয়ের দাবীও করেন তারা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রইচ উদ্দীন বলেন, আমরা কৃষকদের আগে থেকেই আবহাওয়ার পূবাভাস জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। উপজেলার বেশির ভাগ কৃষকই পশু খাদ্যের জন্য পাকা ধানের শুকনো খড়সহ ধান সংগ্রহ করে থাকেন। বৈরি আবহাওয়ার কারণে এবছরে খড় বাদেই ধান কেটে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছি।