যশোর হাটখোলা রোডে ব্যবসায়ীসহ লোকজনকে নির্বিচারে পেটাল পুলিশ

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর শহরের বড় বাজারের হাটখোলা রোডে গতকাল শুক্রবার দুপুরে সাধারণ লোকজনকে নির্বিচারে মারধর করেছে পুলিশ। সদর ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ ইনসপেক্টর তুষার কুমার মন্ডলের নেতৃত্বে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে প্রত্যদর্শী ও ঘটনার শিকার ব্যক্তিদের দাবি অস্বীকার করে ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা হাটখোলা রোডে গেলেও নিজে সেখানে ছিলেন না বলে জানিয়েছেন ইনসপেক্টর তুষার কুমার মন্ডল। তার দাবি, পুলিশ মারধর করেনি। লোকজনকে হটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা হয়তো পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, হাটখোলা রোডের হোটেল সিটি ভবনের নিচতলায় জয়নাল মার্কেটে বেশ কয়েকটি মুুদি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গোডাউন রয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দুপুর দুটো পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার সুযোগ হওয়ায় মুদি ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন মার্কেটের গোডাউন থেকে মালামাল বের করে নেন। এ কারণে শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে কেউ কেউ মার্কেটের ভেতর অবস্থান করছিলেন। এছাড়া মার্কেটের ‘এ সাঈদ এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রহরী আকরাম হোসেন বন্ধ দোকানের খোঁজ নিতে সেখানে এসেছিলেন। এ সময় সদর ফাঁড়ি পুলিশের ইনসপেক্টর তুষার কুমার মন্ডলের নেতৃত্বে পুুলিশ এসে সেখানকার লোকজনকে কোনকিছু না শুনেই নির্বিচারে লাঠি দিয়ে মারধর করে। সিটি হোটেল ও জয়নাল মার্কেটের মালিকের ছেলে আমির হোসেন রাজু এসে বিষয়টি জানতে চাইলে পুলিশ তাকেও মারধর করে। এরপর পুলিশ পাশের মাতৃ স্টোরের মালিক শংকর পালকেও মারধর করেছে। সূত্র জানায়, পুলিশের নির্বিচারে লাঠিচার্জে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এদিকে মারধরের অভিযোগ বিষয়ে ইনসপেক্টর তুষার কুমার মন্ডল জানান, তিনি সেখানে যাননি। তবে ফাঁড়ি থেকে অন্য পুলিশ সদস্যরা গিয়েছিলেন জনসমাগম বন্ধ করার জন্য। ব্যবসায়ীরা অহেতুক দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থেকে জটলার সৃষ্টি করে থাকেন। পুলিশ তাদেরকে হটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে কেউ কেউ হয়তো পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন। তবে পুলিশ কাউকে মারধর করেনি বলে তিনি দাবি করেন। কোতয়ালি থানা পুলিশের ইনসপেক্টর (তদন্ত) শেখ তাসমীম আলম বলেন, ব্যবসায়ীরা এ বিষয়ে কোন অভিযোগ করেনি।