এসো বাঁচার জন্য দূরে থাকি

0

দ্রুত পার হচ্ছে দিন। ফুরিয়ে যাচ্ছে মাহে রমজান। এগিয়ে আসছে ঈদ। কিন্তু কোথাও পড়ছে না ঈদ আনন্দ উৎসবের ছাপ। সর্বত্র বিরাজ করছে ভয়, আতংক। চারিদিকে একই সুর এটা করো না, ওটা ধরো না, সেটা খুলো না। করলে ধরলে খুললে তোমাকে করোনায় ধরবে। করোনায় ধরলে তুমি, তোমাার পরিবার-পরিজন প্রতিবেশী “মরবে”। তুমি মৃত্যুর কারণ হবে আরো অনেকের। হ্যাঁ এটাই সত্যি। বর্তমার পৃথিবীর ভয়ঙ্কর মৃত্যুদূত কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসের এটাই আসল রূপ বা চরিত্র। পৃথিবীকে কাপিয়ে কাঁদিয়ে একাকার করা করোনাভাইরাস আজ সাাৎ যমদূতের আসনে বসে ইচ্ছেমতো পরোয়ানা জারি করে যাচ্ছে, কেউ তাকে রুখতে পারছে না। আমেরিকা, ইতালী, চীন, ইংল্যান্ড, রাশিয়া, সৌদী কেউ ছুতে পারেনি করোনার টিকি। বরং হাজারে হাজার প্রাণ হারিয়ে তারা এখন রণকান্ত -পরাজিত সৈনিক হয়ে হাতড়ে বেড়াচ্ছে বাঁচার পথ। অচলতা বিরাজ করছে সর্বত্র। সেই ভয়ংকর করোনা এখন রাজত্ব করছে বাংলাদেশে।
অবশ্য এটা ঠিক যে, গত দুইমাসে করোনা বাংলাদেশে তার ভয়ংকর ফনা মেলেনি। বাংলাদেশে তার রূপ এখনো নমণীয়, তবে সম্প্রতি মেলতে শুরু করেছে ডানা-পাখনা। যার কারণে বাড়তে শুরু করেছে আক্রান্তের সংখ্যা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যত বেশি সঠিক পরীা হবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা তত বেশী সনাক্ত হবে। সময়ের ব্যবধানে তা ভীতিকর সংখ্যায় পৌছাবে। তবে মৃত্যুর সংখ্যা কী হবে তা কেউ অনুমান করতে পারছেন না। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন, তা শুনতেই গা শিউরে উঠছে সবারই। আমাদের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ মুহূর্তে মৃত্যুর সরকারি হিসাব ভীতিকর নয়। তবে শনাক্তের আগেই করোনা উপসর্গে মৃতের সংখ্যার অর্ধেকও যুক্ত হলে তা মোটেই স্বস্তিদায়ক হতো না। এ কারণে তারা অধিকহারে টেস্টের জন্য আহবান জানাচ্ছে। সাবাই চাচ্ছে করোনা আক্রান্তরা শনাক্ত হোক। তারা সামাজিক শারীরিক দূরত্ব বজাই রেখে সকলকে নিরাপদ রাখুক। কিন্তু দুর্ভাগ্য করোনা পরীার হার ও উল্টোপাল্টা রিপোর্ট এেেত্র হতাশার জন্ম দিচ্ছে। এ থেকে নিষ্ক্রিতির জন্য সরকারকে আরো বেশি তৎপর হতে হবে। কারণ করোনার হাত থেকে রার একটাই পথ শারীরিক দূরত্ব রা ও অধিকহারে পরীা ও শনাক্ত করা
আমরা মনে করি, আমাদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক সময় এখন। উৎসবপাগল বাংলাদেশীদের প্রধান উৎসব ঈদ দ্রুত এগিয়ে আসছে। বাজার, যোগাযোগ ও আর্থিক পরিস্থিতি যেমননি থাক উৎসব কিন্তু করবেই। এখনো সুস্থ থাকা বা বেঁচে থাকার আনন্দও ঝরেও পড়তে পারে। আমরা দোষের মনে করি না। তবে বিপজ্জনক মনে করি। তাই সবার কাছে দাবি রাখি বাঁচার আনন্দ বাঁধভাঙ্গুক কিন্তু বাঁচার জন্যই থাক নিরাপদ দূরত্বে। আর এই দূরত্ব রার উৎসব শুরু হোক এখন থেকেই। সবাই মনে রাখুক বাঁচার পথ দূরত্ব রা। সবাই বলুক এসো বাঁচার জন্য, ভালো থাকার জন্য দূরে দূরে থাকি। এসো দূরে থেকে ঈদ উৎসব করি।