হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে ভ্যানের ওপর সন্তান প্রসব!

0

শেখ মাসুদ হোসেন, সাতক্ষীরা॥ সাতক্ষীরা হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে হাসপাতালের বাইরেই ভ্যানের ওপরেই পুত্র সন্তান প্রসব করলেন এক গৃহবধুর। শুক্রবার সকালে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের বাইরে এই ঘটনা ঘটে। চিকিৎসকদের না পেয়ে সঙ্গে থাকা লোকজন ভ্যানের ওপরেই কাপড় ঘিরে ডেলিভারি করানো হয় শিমুলি দাশ নামের ওই গৃহবধুর। তার বাড়ি সদর উপজেলার ছনকা গ্রামের ঋষিপাড়া এলাকায়। সন্তান প্রসবের পর সেখান থেকে বাড়ি ফিরে যান তারা। এটাই শিমুলি ও বিধান দম্পত্তির প্রথম সন্তান।
নবজাতকের বাবা সদর উপজেলার ছনকা গ্রামের বিধান দাস জানান, তার গর্ভবতী স্ত্রী শিমুলি দাসকে নিয়ে তারা প্রথমে কয়েকটি কিনিকে যান। কিন্তু করোনার কারন দেখিয়ে কেউ তাকে ভর্তি নেয়নি। অগত্য সরকারি হাসপাতালে শুক্রবার ভোরে নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু তারাও ভর্তি না নেয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েন তারা। এসময় প্রসব বেদনায় তার স্ত্রী ছটফট করতে থাকেন। একপর্যায়ে বহনকারি ভ্যানের ওপর সন্তান প্রসব করেন তার স্ত্রী। নবজাতকের নাম দেয়া হয়েছে রুদ্র দাস।
সদ্য প্রসূতি শিশুর দিদিমা (নানী) সদর উপজেলার মাছখোলা গ্রামের শিবানী দাস জানান, সন্তান সম্ভাবা মেয়েকে প্রসবের জন্য তিনি গত শুক্রবার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। এসময় প্রসব বেদনায় তার মেয়ে ছটফট করলেও ভর্তি নেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ভ্যানের ওপরেই তার প্রসব যন্ত্রনা শুরু হলে সেখানেই ছেলে সন্তানের জন্ম দেয় তার মেয়ে শিমুলি দাস। শিশুটির মা শিমুলি দাস জানান, ওই সময়ের কথা মনে পড়লে আঁতকে উঠি। সেটি কাউকে বলে বোঝানো যাবেনা। তবে সন্তানের মুখ দেখার পর সব কষ্ট ভুলে গেছি। এবিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়াত জানান, শুক্রবার যেহেতু ছুটির দিন, তাই বিষয়টি আমার নলেজে আসেনি। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। সাত দিনের মধ্যে তাদের রিপোর্ট দিতে বলা হবে। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।