করোনা চিকিৎসায় ‘আলোচিত সাফল্য’ রেমডেসিভির, এটি আসলে কী জানেন?

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ করোনাভাইরাসের কারণে এখন আতঙ্কিত বিশ্ব। এই আতঙ্কের মূল কারণ হচ্ছে এই রোগের কোন চিকিৎসা বা ভ্যাকসিন এখনো আবিষ্কার হয়নি, নেই কোন ওষুধ। তবে এত হতাশার মাঝেও একটু আশার আলো দেখিয়েছে রেমডেসিভির নামের ওষুধটি। কিন্তু রেমডেসিভির আসলে কী?
চলুন জেনে নেই রেমডেসিভির আসলে কী এবং করোনা সংক্রমণে এটি কতটুকু ভূমিকা রাখতে পারে?
জানা গেছে, রেমডেসিভির একটি অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ। যেটি ভাইরাসের বংশবৃদ্ধি (Replication) কমায়। এটি একমাত্র তৈরি করতে পারবে আমেরিকার জিলিয়াড বায়োটেকনোলজি কোম্পানি। কেনোনা বিশ্বের আর কোন ওষুধ কোম্পানির কাছে এটির প্যাটেন্ড বা অনুমতি নেই।
সম্প্রতি করোনা চিকিৎসায় ইবোলার ওষুধ রেমডেসিভির অনুমোদন দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে রেমডেসিভির কি কোভিড-১৯ রোগের জন্য তৈরি?
উত্তর এক কথায় ‘না’। তবে রেমডেসিভির নতুন কোনো ওষুধ নয়। এটি অন্যান্য ভাইরাল ইনফেকশনে আগেও রোগীদের দেহে প্রয়োগ করা হয়েছিল। যেমন সার্স, মার্স, ইবোলা– এমনকি এইডস রোগীদের ক্ষেত্রে এই রেমডেসিভির ব্যবহারের ইতিহাস রয়েছে। মূলত ইবোলা ও মার্সের চিকিৎসায় এই রেমডেসিভির ব্যবহারে যে উপকার হয়, সেই অভিজ্ঞতা বা থিওরির ওপর ভিত্তি করেই ‘সার্স করোনাভাইরাস-২’ বা কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর ওপর এর প্রয়োগ শুরু করা হয়।
রেমডেসিভির কীভাবে শরীরে প্রয়োগ করা হয়?
সাধারণত রেমডেসিভির ইনজেকশন কোভিড-১৯ রোগীর দেহে প্রয়োগ করা হয়। ১০ দিনের কোর্স। প্রথম দিন ২০০ মিগ্রা ইনজেকশন পরবর্তী ৯ দিন ১০০ মিগ্রা।
রেমডেসিভির প্রয়োগে কি হয়?
নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, করোনাভাইরাসের তীব্র সংক্রমণে রোগীকে রেমডেসিভির দিয়ে চিকিৎসা করালে তারা সুস্থ হন ১০ দিনে, আর অন্যরা যারা রেমডেসিভির দেয়া হয় না, তারা সুস্থ হন ১৪ দিনে।
রেমডেসিভিরের দাম কত?
আমেরিকার জিলিয়াড বায়োটেক কোম্পানি এটি এখনো বাজারে বিক্রি করেনি। ট্রায়াল হিসেবে রোগীদের ফ্রি দিচ্ছে। তবে উৎপাদন, কাঁচামাল এসব হিসাব করলে মোটামুটি বলা যায়, কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য ১০ দিনের এক কোর্স রেমডেসিভির ইনজেকশনে খরচ হবে ন্যূনতম এক হাজার ডলার বা প্রায় ৯০ হাজার টাকা।
এ ছাড়া অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তো আছেই। কোভিড-১৯ রোগীর জন্য খুবই প্রয়োজনীয় কার্যকর ওষুধ হলো অক্সিজেন এবং বিশ্রাম। হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন, ফেভিপিরাভির, রেমডেসিভির, ফ্লোরোকুইন, এজিথ্রোমাইসিন- এসব যাই বলেন, সবার আগে রোগীর জন্য চাই নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন।