লোহাগড়ায় জামিনপ্রাপ্ত আসামীর বাড়ি ভাংচুর-লুটপাটসহ মহিলাদের মারপিট

0

লোহাগড়া(নড়াইল)সংবাদদাতা॥নড়াইলের লোহাগড়ায় হত্যা মামলায় জামিনপ্রাপ্ত আসামীর বাড়ি ভাংচুর-লুটপাট সহ মহিলাদের মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে জানা গেছে, লোহাগড়া উপজেলার লোহাগড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বদর খন্দকার প্রতিপক্ষের হাতে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি খুন হন। হত্যাকান্ডের বিষয়ে নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার এজাহারভূক্ত আসামী হলেন চরবকজুড়ি গ্রামের মৃত ইয়াছিন শেখের ছেলে ফরিদ শেখ ও তার ছেলে রুমান শেখ। পিতা পুত্র দুজনেই বর্তমানে উচ্চ আদালত থেকে ওই হত্যা মামলায় জামিনে রয়েছেন। জামিনপ্রাপ্ত হবার পর ফরিদ শেখ পরিবার সহ নিজ বাড়িতে বসবাস করছেন।
ফরিদ শেখের স্ত্রী বীনা বেগম অভিযোগ করেন, গত বৃহস্পতিবার(৩০ এপ্রিল) রাত ৭টার দিকে চরবকজুড়ি গ্রামের মৃত নায়ের আলী খন্দকারের ছেলে মোঃ বাবর খন্দকার, সবর খন্দকার, রাব্বী খন্দকার, টগর খন্দকার, মাসুম খন্দকার, সোহেল, ইমরান মোল্যা ও সেলিমের নেতৃত্বে প্রায় দুই শতাধীক লোকে আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। ফরিদ শেখ এসময় ঘরের মধ্যে ছিলেন। গ্রাম্য সন্ত্রাসীরা ফরিদকে মারপিটের জন্য বাড়ির গেট ও দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করে। গ্রাম্য সন্ত্রাসীরা আমাদের দুিট ঘরে ঢুকে মূল্যবান আসবাবপত্র ভাংচুর করে এবং নগদ বিশ হাজার টাকা স্বর্ণালংকার, টেলিভিশনসহ আসবাবপত্র নিয়ে যায়। মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায দুই লাখ টাকা। আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ আমাদের বাড়ি এসে আমার স্বামী ফরিদ ও ছেলে রুমান শেখকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে পুলিশ নিহত বদর খন্দকারের পরিবারের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে বাপ-বেটাকে আসামী করে বৃহস্পতিবার রাতেই মিথ্যা মামলা দায়ের করে। মামলা নং-২৭। ওই মিথ্যা মামলার বাদী নিহত বদর খন্দকারের বড় ভাই মোঃ বাবর খন্দকার। ফরিদ শেখের বোন পাখী(৬০) অভিযোগ করেন, আমার ভাইয়ের বাড়ি ভাংচুরের সময় আমাকে মারপিটসহ গালিগালাজ করা হয়েছে। ফরিদের স্ত্রী আরো অভিযোগ করেন, সন্ত্রাসীরা আমাদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। আমরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। অভিযুক্ত মোঃ বাবর খন্দকারসহ অন্যদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি। লোহাগড়া থানার ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগে ফরিদ শেখ ও তার ছেলের নামে মামলা দায়ের হয়েছে। তাদেরকে আটকের পর শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বর্তমানে তারা জেল হাজতে রয়েছেন।