যশোরের চাঁচড়ায় হত্যাকান্ডের সাড়ে ৩ মাস পর মামলা, আসামি ১৮

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর সদর উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের ভাতুড়িয়া গ্রামে হাশেম আলী নামে এক ব্যক্তি খুনের সাড়ে ৩ মাস পর গত বুধবার রাতে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। ১৮ জনকে আসামি করে মামলাটি করেছেন নিহতের স্ত্রী নিলিমা বেগম। তবে পুলিশ এ মামলার এজাহ্রাভুক্ত কোন আসামিকে আটক করতে পারেনি। ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হচ্ছেন, নারায়ণপুর (ভাতুড়িয়া) গ্রামের মৃত উসমান আলীর ছেলে নুর ইসলাম ওরফে নুরু মুহুরি, তার ছেলে ইসরাজুল হোসেন, ভাই ইউনুস আলী, ভাতুড়িয়া গ্রামের আয়নাল হোসেনের ছেলে আব্দুল মান্নান, মৃত আকবর আলীর ছেলে মিন্টু, আবুল কাশেমের ছেলে কবিরুজ্জামান কাজল, মৃত ইনতাজ আলীর ছেলে জাকির হোসেন, আবদুস সামাদের ছেলে আতিয়ার রহমান ওরফে আতি খোকা, ওয়াজেদ ড্রাইভারের ছেলে আল-আমিন, মৃত লতিফ গাজীর ছেলে আহসান, আব্দুল মান্নানের ছেলে বাপ্পী, হাশেমের ছেলে রফিকুল ইসলাম, আব্দুস সালামের ছেলে রাজু, মািফজুর রহমান মিস্ত্রির ছেলে সোহেল, রবিউল ইসলামের ছেলে ইমরান, মৃত ওমর আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর, রওশনের ছেলে আব্দুল গফ্ফার এবং চাঁচড়া এলাকার ইনামুল হোসেন। নিলিমা বেগমেরর অভিযোগ, গত ১৫ জানুয়ারি তার ছেলে আছর আলী প্রতিবেশী আকবর আলীর খেজুর গাছের রস পান করে। এবিষয়টি কেন্দ্র করে ওইদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভাতুড়িয়া দাড়িপাড়ার তিন রাস্তার মোড়ে আসামি আব্দুল মান্নান ও মিন্টুর সাথে তার ছেলের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় তারা তার ছেলেকে মজা দেখানোর হুমকি দেন। এর কিছুক্ষণ পর উল্লিখিত সকল আসামি লোহার রড, শাবল, দা ও চাইনিজ কুড়াল নিয়ে তাদের বাড়িতে হামলা চালান। তারা তার ছেলে আছর আলীকে বেধড়ক মারধর এবং বাড়িতে ভাঙচুর করেন। এ সময় তার স্বামী হাশেম আলী ছেলেকে রক্ষা করতে ছুটে এলে আসামিদের একজন তাকে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেন। তাকে কিলঘুষি মারা হয় এবং শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টাও চালানো হয়। এ সময় তিনি এবং তার ছেলে ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে তার স্বামীকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় আহত হন তার স্বামী। পরদিন ১৬ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি আরো গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হলে আসামি বাপ্পী ও গফ্ফার বাঁধা দেন এবং ফের তাকে কিলঘুষি মারেন। ফলে চিকিৎসা না পেয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় তার স্বামী মারা যান। পুলিশ জানায়, নিহত হাশেম আলীর লাশের পরে ময়না তদন্ত করানো হয়। এই ময়না তদন্তের রিপোর্ট সম্প্রতি পুলিশের কাছে এসে পৌঁছায়। রিপোর্টে আঘাতজনিত কারণে তার মৃত্যুর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। যোগাযোগ করা হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চাঁচড়া ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ শাহজাহান আহমেদ জানান, এজাহারভুক্ত কোন আসামিকে এখনো আটক করা যায়নি।