‘করোনায় বাংলাদেশে নারী, যুব ও বয়স্ক কর্মীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত’

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ বাংলাদেশে নারী, যুব সম্প্রদায় এবং বয়স্ক কর্মীরা কোভিড-১৯ মহামারির কারণে অন্যদের থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অন্য কোনও আয়ের উপায় না থাকলে তাদের পক্ষে জীবিকা নির্বাহ করা অত্যন্ত দুরূহ বলে মনে করে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)। আইএলও থেকে কোভিড-১৯ নিয়ে যে সিরিজ প্রকাশিত হয়েছে তার সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির বাংলাদেশ প্রধান টুমো পুতিয়াইনেন। তিনি বলেন, ‘যুব সম্প্রদায় ইতোমধ্যে বেকারত্বের শিকার অথবা নিজেদের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পাচ্ছে না। কোভিড-১৯-এর কারণে তাদের চাহিদা আরও কমবে এবং জীবিকা নির্বাহ করতে সমস্যা হবে।’ নারী ও ৫৫-ঊর্ধ্ব বয়সী কর্মজীবীরা বেকারত্ব, যোগ্যতার থেকে কম স্তরে চাকরি অথবা কম ঘণ্টা কাজ করার ঝুঁকিতে আছেন বলে জানান পুতিয়াইনেন। তিনি বলেন, ‘সামাজিক সুরক্ষার ক্ষেত্রে নারীদের পিছিয়ে থাকার আশঙ্কা বেশি এবং যারা স্ব-উদ্যোগে কিছু করছেন তারাসহ কম্পিউটার-নির্ভর কর্মীরা ভঙ্গুর অবস্থায় আছেন। কারণ, তারা প্রথাগত সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার আওতায় নেই।’
এদিকে, সারা বিশ্বে প্রায় ৪৪ কোটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে আছে বলে মনে করে আইএলও। এরমধ্যে ২৩ কোটি পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা। এছাড়াও বাকিদের মধ্যে ১১ কোটি উৎপাদনশীল খাতে, ৫ কোটি হোটেল ও খাদ্য ব্যবসায় এবং ৪ কোটিরও বেশি নির্মাণ ও অন্যান্য ব্যবসায়িক খাতে। পুতিয়াইনেন ওই প্রতিবেদনে মন্তব্য করেছেন, ‘কর্মী, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও কর্মসংস্থান রক্ষা করার জন্য সঠিক পদক্ষেপ নিলে অর্থনীতি ও সমাজ আরও ভালো করবে।’ তিনি বলেন, ‘অগ্রাধিকার ঠিক করার ক্ষেত্রে এটি আমাদের একটি সুযোগ। যারা ঝুঁকির মধ্যে আছেন তাদের সুরক্ষা দেওয়া, কর্মীদের কর্মস্থলে সুরক্ষা দেওয়া এবং সরকার, কর্মী ও মালিকপক্ষের মধ্যে জোরালো সংলাপের মাধ্যমে এটি করা সম্ভব।’ এদিকে জেনেভা থেকে প্রকাশিত আইএলও’র পৃথক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯-এর কারণে অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতিতে কম শ্রমঘণ্টার কাজ করতে বাধ্য হবে ১৬০ কোটি শ্রমিক। বলা বাহুল্য, তারা বিশ্বের মোট শ্রমিকের অর্ধেক। এর ফলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, তাদের জীবিকা নির্বাহ করা দুর্বিষহ হয়ে উঠবে। লকডাউন ও অন্যান্য পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে প্রথম মাসেই তাদের আয় প্রায় ৬০ শতাংশ কমে গেছে বলে জানায় আইএলও।