ভারত ফেরতদের জন্য খাজুরা সরকারি কলেজে চালু হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার

0

খাজুরা (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের খাজুরা সরকারি শহীদ সিরাজুদ্দীন হোসেন কলেজে ১৫০ শয্যার প্রাতিষ্ঠানিক হোম কোয়ারেন্টাইন সেন্টার চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। সেখানে ভারত থেকে আসা যাত্রীদের জন্য আবাসন ও খাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এটি পরিচালিত হবে। এতে জনসাধারণের সুরক্ষা ও ভারত থেকে আসা যাত্রীদের শতভাগ কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত হবে। একই সাথে করোনা ভাইরাস সংক্রমের আশঙ্কা অনেকটা কমে আসবে। সোমবার (২৭ এপ্রিল) সকালে এ উপলক্ষ্যে কলেজ অধ্যক্ষ্যের দপ্তরে এক প্রস্তুতিমূলক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন যশোর-০৪ আসনের সাংসদ রনজিত কুমার রায়, সেনাবাহিনীর ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মো. রাশেদুল হাসান রাশেদ, বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম কাজল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া আফরোজ, পৌর মেয়র কামরুজ্জামান বাচ্চু, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা জান্নাত, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আল মামুন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম, উপজেলা অনসার ভিডিপির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিটন মাহমুদ, বন্দবিলা ইউপি চেয়ারম্যান সবদুল হোসেন খান, অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক, উপাধাক্ষ্য আমিনুর রহমান, যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি ফরিদুজ্জামান, বন্দবিলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্পাদক আব্দুল হামিদ ডাকু ও খাজুরা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই জুম্মান খান।
সভা শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানিয়া আফরোজ জানান, ১৫০ শয্যার প্রাতিষ্ঠানিক হোম কোয়ারেন্টাইন চালু করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সর্বোচ্চ সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে। এর মধ্যে যশোর-০৪ আসনের সাংসদ নগদ দেড় লাখ টাকা, উপজেলা চেয়ারম্যান প্রতিদিন খাবারের ব্যবস্থা ও বিনোদনের জন্য একটি টেলিভিশনের প্রদান করবেন, পৌর মেয়র স্যানটেশন সুবিধা ও পরিচ্ছন্ন কর্মীর ব্যবস্থা এবং থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একটি এ্যাম্বুলেন্স প্রদান করবেন। এ ব্যাপারে ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মো. রাশেদুল হাসান রাশেদ জানান, যশোরের শার্শা ও ঝিকরগাছা উপজেলায় এর আগে একটি করে প্রাতিষ্ঠানিক হোম কোয়ারেন্টাইন চালু করা হয়েছে। সেখানে নির্ধারিত আবাসন পরিপূর্ণ হওয়ায় খাজুরা কলেজে নতুন একটি কোয়ারেন্টাইন চালু করা হচ্ছে। কোয়ারেন্টাইনে নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসার ভিডিপি ও গ্রাম পুলিশের নিয়োজিত থাকবে। যাতে কেউ সেখান থেকে পালিয়ে যেতে না পারে। চিকিৎসা সেবা দিতে একজন এমবিবিএস ডাক্তার সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবো। যশোর-৪ আসনের সাংসদ রনজিত কুমার বলেন, কোয়ারেন্টাইন সেন্টার নিয়ে এলাকাবাসীর আতঙ্কতি হওয়ার কিছু নেই। একজন সন্দেহভাজন লোক বাড়িতে যেভাবে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকে ঠিক সেভাবেই এখানে ১৪দিন অবস্থান করবে। এলাকাবাসীকে তিনি সরকারি নির্দেশনা মেনে ঘরে থাকার আহবান করেন।