এত কাছে, তবু দূরে ও ‘মানবতার বাজার’

0
মীযানুল করীম
‘লকডাউন’ কথাটা এখন সবার মুখে মুখে। এর মানেটাও কারো অজানা নেই আর। সোশ্যাল ডিসট্যান্স, কমিউনিটি ট্রান্সমিশন, টেস্ট কিট, আইসোলেশন, কোয়ারেন্টিন, প্যান্ডোমিক প্রভৃতি শব্দ ও পরিভাষাও প্রতিনিয়ত ব্যবহৃত হচ্ছে। অনেকে বলছেন, ‘সোশ্যাল ডিসট্যান্স’ আসলে পারস্পরিক দূরত্বের দৃশ্যমান প্রয়োগের মাধ্যমে অদৃশ্য মানসিক নৈকট্য প্রতিষ্ঠা করেছে। তাদের মতে, Social distance মানে আসলে distant socialisation. এবারই প্রথম কোলাকুলি ছাড়া ঈদ উদযাপিত হবে। তবে ইতিবাচক ভাবনাবাদীরা মনে করছেন, কোলাকুলি না হলেও আমরা মনের দিক থেকে একে অন্যের কাছ থেকে দূরে নই। কোলাকুলি না থাকার চেয়ে ‘কিলাকিলি’ না থাকা অনেক বেশি জরুরি। এই ভয়াবহ করোনাকালেও কিন্তু কিলাকিলি, অর্থাৎ সঙ্ঘাত-সন্ত্রাস-সহিংসতা মিলিয়ে সৃষ্ট অশান্তি বন্ধ হয়নি বাংলাদেশে। হানাহানির এই ভাইরাস করোনাভাইরাসের চেয়ে কম মারাত্মক নয় দেশ-জাতির জন্য।
এ দিকে, করোনাবিপর্যয়ের মাঝে যেমন মানুষের লকডাউন-নকডাউনের ঘটনা ঘটছে, তেমনি আছে প্রকৃতির এক ধরনের বিজয় উৎসবের ব্যাপার। বায়ুদূষণ কমেছে অনেকটা; সেই সাথে জীববৈচিত্র্য আগের চেয়ে অনেক বেশি নিরাপদ আর স্বচ্ছন্দ এখন। মোটের ওপর বলতে হয়, যে মানুষ পরিবেশ ধ্বংসের হোতা, করোনা তাদের বিরাট বিপদ ডেকে আনলেও প্রাকৃতিক পরিবেশ ইদানীং অনেকটা বিকশিত। কেউ কেউ বলছেন, আসলে প্রকৃতি তো মানুষের মতো এত সহিংস নয়। তাই প্রকৃতি প্রতিশোধ নেয় না। সভ্যতাদর্পী ও ক্ষমতান্ধ মানুষ আকাশ-অরণ্য-মৃত্তিকা-পানিকে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছিল দখল-দূষণের দানবীয় দৌরাত্ম্যে। সীমাহীন লালসা, ক্ষমতার দাপট এবং অন্যায় কর্তৃত্ব এর হেতু। এ অবস্থায় করোনার সুযোগে প্রকৃতি তার আপন ভুবন সাজিয়ে নিচ্ছে। এ কারণে দেখা যাচ্ছে ভারতে মুম্বাই মহানগরীর রাজপথে ময়ূরনৃত্য এবং দেরাদুনের ক্রিকেট মাঠে হরিণকে। তা ছাড়া, মেক্সিকোর সৈকতে কুমির রোদ পোহায়, কক্সবাজার সিবিচে ডলফিনের নাচ; দ: আফ্রিকায় নগরভ্রমণে বেরোয় পেঙ্গুইন পরিবার এবং রাজপথে মহাসুখে দিবানিদ্রা যায় সপরিবারে সিংহেরা।
‘মডেল’ নিয়ে মাতামাতি
বাংলাদেশসহ সারা বিশ্ব করোনাভাইরাসের তাণ্ডব মোকাবেলা করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। অন্য দিকে কোনো কোনো দেশ এ ক্ষেত্রে দৃশ্যত সাফল্য অর্জন করেছে অনেকটাই। এমনকি, এসব দেশের কোনো কোনোটি প্রথম দিক করোনার প্রচণ্ড ধাক্কায় বিপর্যস্ত হলেও পরে পরিস্থিতি সামলিয়ে উঠেছে এবং আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কমিয়ে এনে লকডাউন প্রত্যাহারের মতো অবস্থায় উন্নীত হতে সক্ষম হয়েছে।
এসব কারণে ভুক্তভোগী রাষ্ট্রগুলো কেউ ‘চীন মডেল’ কেউ তাইওয়ান মডেল, কেউবা কোরিয়া মডেল, আবার কেউ কেউ ‘সুইডেন মডেল’-এর দিকে ঝুঁকছেন। উল্লেখ্য যে, চীনের উহান নগরীতে ৩১ ডিসেম্বরে সর্বপ্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, সে চীন এখন তার ‘প্রধান শত্রু’ আমেরিকাকে সাহায্য করছে করোনা ক্রাইসিস কাটিয়ে ওঠার কাজে। মিডিয়ার খবর, বিশ্বের ‘সর্বাপেক্ষা উন্নত দেশ’ হলে কী হবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বিশ্বে সর্বাধিক। চীন এই তালিকায় স্পেন-ইতালি-ইরানের পিছে, একেবারে ৭ অথবা ৮ নম্বরে চলে গেছে। তদুপরি, দুনিয়াতে অনেকটা অপরিচিত এবং অত্যন্ত অনুন্নত হিসেবে গণ্য, উগান্ডা ও বুরুন্ডির মতো ‘ব্রাত্যরাষ্ট্র’ কালো আফ্রিকার বুকে করোনা-সাফল্যের সাদা আলো ছড়াচ্ছে। মিডিয়া আরো জানিয়েছে, তিন মহিলার শাসিত এবং তিন মহাদেশে অবস্থিত, তিনটি দেশের সফলতাও কম নয়। এগুলো হচ্ছে ইউরোপের জার্মানি, এশিয়ার তাইওয়ান এবং অস্ট্রেলিয়ার অদূরবর্তী নিউজিল্যান্ড। জার্মানিতে শুরুর দিকে করোনা ছড়িয়ে গেলেও সেটাকে বাগে আনতে পেরেছেন বহুলালোচিতা চ্যান্সেলর মের্কেল। মহাচীনের ‘পেটের নিচে’ অতীব ক্ষুদ্র দ্বীপদেশ তাইওয়ানে করোনা সুবিধা করে উঠতে না পারা বিস্ময়কর বৈকি। আর পর্যটন রাষ্ট্র নিউজিল্যান্ড গত বছর ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হত্যাযজ্ঞের দুর্নামের পর এখন সুনাম কুড়াচ্ছে করোনা বিপর্যয়রোধে বিরাট কৃতিত্বের কারণে। এ ছাড়া, চীন আর ভারত, দুটি সর্বাধিক জনাকীর্ণ দেশে করোনার মারণলীলা সত্ত্বেও তাদের মাঝে Sandwich হয়ে থাকা, অর্থাৎ দুটি বিরাট রাষ্ট্রের মধ্যবর্তী ক্ষুদ্র দেশ, নেপালেও করোনার প্রাদুর্ভাব তেমন নেই। তবুও সতর্কতামূলক লকডাউনের সময়ে নেপালি রাজপথে অরণ্যের গণ্ডারের অবাধ পদচারণার ছবি মিডিয়ায় এসেছে।
যা হোক, ইউরোপের উত্তরাঞ্চলের দেশ সুইডেন করোনা মোকাবেলায় ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে জনজীবন স্বাভাবিক রেখে সাহস ও সাফল্যের পরিচয় দেয়ার খবর সাড়া জাগিয়েছিল। এখন শোনা যাচ্ছে ভিন্ন কথা। সে দেশেরই একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও অধ্যাপক লিখে জানিয়েছেন, করোনা মোকাবেলায় ‘সুইডেন মডেল’ নিরাপদ নয়। বরং এ দেশে করোনার সংক্রমণ প্রতিবেশী দেশগুলোর কয়েকগুণ। এসব পড়শি রাষ্ট্রের মধ্যে আছে নরওয়ে, ফিনল্যান্ড ও ডেনমার্ক। এদের কেউ কেউ এমনকি, লকডাউন ক্রমে উঠিয়ে দেয়ার অবস্থায় উন্নীত হয়েছে। এ দিকে, সুইডেনে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় ১৬০০ মানুষ করোনায় প্রাণ হারিয়েছে। কারো কারো নজর দারিদ্র্যপীড়িত ও করোনা সংক্রমিত ভারতের দিকেও। যদিও দেশটায় ২০ এপ্রিল নাগাদ করোনার শিকার ৬০০ মানুষ, তবুও এর সর্বদক্ষিণের ক্ষুদ্র কেরালা প্রদেশের সাফল্য বৃহৎ বলে জানা যায়। এই রাজ্যে শিক্ষিতের হার এবং অসাম্প্রদায়িকতার মাত্রা দুটিই প্রশংসনীয়।
মানবতা : দেয়াল ও বাজার
দেশের রাজধানী ঢাকাসহ নানা স্থানে গত কয়েক বছরে ‘মানবতার দেয়াল’ গড়ে উঠেছে অনেক। উপরে লেখাÑ ‘আপনার অপ্রয়োজনীয় জিনিসটি এখানে রেখে যেতে পারেন। এরপর লেখা- আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসটি এখান থেকে নিয়ে যেতে পারেন। ’ নিচে ঝুলছে কিছু পোশাক-শার্ট/ প্যান্ট/ গেঞ্জি/ শার্ট ইত্যাদি। এখন ‘মানবতার বাজার’ চালু হয়েছে। তা হলো, করোনার তাণ্ডবে পথেবসা ও দিশেহারা গরিব মেহনতি মানুষের জন্য বিনামূল্যের সবজিবাজার। কুমিল্লা, পিরোজপুর, চট্টগ্রামসহ দেশের কোনো কোনো এলাকায় এটি চালু হয়েছে। কোথাওবা ‘মানবতার জননী’র রাজনৈতিক সন্তানতুল্য ছাত্রছাত্রীরা এ উদ্যোগ নিয়েছে।
উত্তরবঙ্গের লালমনিরহাটে হতদরিদ্র বেকার মানুষ চরম বিপাকে। তাদের সাহায্যার্থে জেলা ছাত্রলীগ গড়ে তুলেছে ‘মানবতার বাজার’। এর অবস্থান স্থানীয় রেল স্টেশনের পাশে। এ বাজার থেকে নিম্নবিত্ত মেহনতি মানুষ বিনামূল্যেই তাদের প্রয়োজনীয় কাঁচাবাজার পাবেন বলে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, ক্ষমতাসীন দলের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গসংগঠন হলো ছাত্রলীগ। আর মূল দলের নেত্রী এবং দীর্ঘকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিকট অতীতে ৭ লাখ রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুকে দেশে ঠাঁই দিয়ে প্রধানত স্বদলীয় সবার কাছ থেকে ‘মানবতার জননী’ খেতাব পেয়েছেন। এ দিকে, করোনা প্রাদুর্ভাবে চাটগাঁর হাটহাজারীর কর্মহীন লোকজনের জন্য ‘ভালোবাসার ভ্যান’ গাড়ি চালু হয়েছে। এর উদ্যোক্তা জানান, সরকার প্রধানের সৌজন্যে ভ্যানযোগে প্রতিদিন কয়েক শ’ মানুষকে সবজি ফ্রি পৌঁছিয়ে দেয়া হচ্ছে। দেখা যাক, আমাদের মানবতা কদিন বজায় থাকে।
ভুল না অন্য কিছু?
বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্ষমতায় শুধু নয়, একই মন্ত্রণালয়ে আছেন ২০১৪ সাল থেকে। আগে আধা, এখন পুরোমন্ত্রী। একটি পত্রিকার ভাষায়, ‘এই দীর্ঘ সময়ে তিনি কাজের কাজ কিছু করতে না পারলেও নানা ইস্যুতে সমালোচিত হয়েছেন।’ এতে আরো অভিযোগ রয়েছে, ‘এবার করোনা পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের পিপিই সরবরাহ নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে জাহিদ মালেক। বিশেষ করে এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহ করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে মাস্ক সরবরাহকারী সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের সঙ্গে মন্ত্রীর পারিবারিক সম্পর্ক নিয়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে স্বাস্থ্যমন্ত্রী।’ এটা ১৮ এপ্রিলের পত্রিকার প্রতিবেদন। পরদিনই একই পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় বিরাট এক বিজ্ঞাপনে একটি ব্যবসায়ী গ্রুপ কিছু বক্তব্য রেখেছে। শিরোনাম : ‘ঘ-৯৫ বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদ ও ভুল বুঝাবুঝির অবসানকল্পে বিজ্ঞপ্তি।’
এতে শেষ দিকে বলা হয় যে, (বর্তমান) জরুরি সরবরাহকালীন সময়ে ২০,৬০০ পিস ফেইস মাস্ক ভুলবশত জেএম আই স্টোরে প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্টের জন্য সংরক্ষিত ঘ-৯৫ কার্টনে সরবরাহ করা হয়। এ বিষয়টি প্রাথমিক পর্যায়ে কর্তৃপক্ষের নজরে আসে এবং কেন্দ্রীয় ঔষধাগার তাৎক্ষণিক মাস্কগুলো জেএমআইকে ফেরত দেয় এবং কেন এমন মোড়কে সাধারণ মাস্ক সরবরাহ করা হয়েছে, তার ব্যাখ্যা জানতে চায়। আমরা জেএমআই তাৎক্ষণিক আমাদের ভুল স্বীকার করে নিয়ে যথাযথ ব্যাখ্যা প্রদান করার পর বিষয়টি এখানে সুরাহা ও ইতি ঘটে। তদুপরি, ‘এতে কেউ কোনো প্রকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি’ বলে বিজ্ঞাপনটিতে দাবি করা হয়। এখন দেখার বিষয়, সংশ্লিষ্ট কোম্পানির প্রত্যাশা মাফিক ‘ভুল বোঝাবুঝির অবসান’ এবং ‘বিষয়টির সুরাহা’ ঘটেছে, নাকি কোম্পানির অভিযোগ মাফিক ‘হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষ্যে অহেতুক অপপ্রচার’ কিংবা ‘কারো দ্বারা প্ররোচিত হয়ে কোনো বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করা’ অব্যাহত থাকবে।
কারো পৌষমাস, কারো সর্বনাশ
করোনাকাণ্ডে দুনিয়াজুড়ে অভূতপূর্ব তোলপাড় বা ‘লঙ্কাকাণ্ড’। এখন তাই অনলাইনের রমরমা। বাংলাদেশে কোনো কোনো পত্রিকার কেবল অনলাইন সংস্করণ বের হচ্ছে। ভারতে একটি অনলাইন প্রতিষ্ঠানের রকমারিপণ্য ঘরে ঘরে ডেলিভারি দিয়েছেন যে কর্মচারী, তার ধরা পড়েছে করোনার সংক্রমণ। অতএব, সংশ্লিষ্ট খদ্দেররাসহ যারাই তার সংস্পর্শে আসার সন্দেহ করা যায়, সবাই বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে। অনলাইনে কোম্পানিটি মুখ বাঁচাতে বলেছে, ‘ওই স্টাফ পণ্য ডেলিভারি দেয়ার সময়ে করোনাক্রান্ত ছিলেন কি না, তা আমাদের জানা ছিল না।’ কিন্তু ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গেছে।
এ দিকে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন এ সময়ে লোকবল হ্রাস নয়, বরং কয়েক হাজার নতুন কর্মী নিয়োগ নিয়েছে। কারণ, লকডাউনে দীর্ঘদিন ঘরবন্দী হাজার হাজার মানুষের মাঝে অনলাইনে পণ্য কেনার হিড়িক। অথচ, সারা দুনিয়াতে করোনার বেনজির বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে বহু প্রতিষ্ঠান অর্থনৈতিক সঙ্কটে বন্ধ হয়ে গেছে; বেকার হয়েছেন অসংখ্য মানুষ; অনিশ্চিত ভবিষ্যতের অন্ধকার লাখ লাখ মানুষের চোখে মুখে। এই অচলাবস্থার মাঝে, করোনাভাইরাসের ‘কল্যাণে’ অনলাইন কেনাকাটার ওয়েবসাইট অ্যামাজনের চাহিদা এত বেড়ে গেছে যে, মানুষ এটা ব্যবহার করে ঘরে থেকেই পণ্যের অর্ডার দিতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপদ বোধ করছেন। ফলে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম হু হু করে বাড়ছে। আর করোনার মহাতাণ্ডবের সময়ে, অ্যামাজন মালিক শেফ বেজোসের সম্পদ ২৪০০ কোটি ডলার বেড়ে গেছে। বর্তমানে তার একারই সম্পদের দাম ১৩৮ বিলিয়ন ডলার। আর তিনিই এখন বিশ্বের ধনী হিসেবে এক নম্বর। অ্যামাজন ছাড়াও জুম, সø্যাক, নেটক্লিক্স প্রভৃতি টেক-কোম্পানি লকডাউনের সুযোগে চুটিয়ে ব্যবসায় করে পরস্পরকে নকডাউন করতে উঠে পড়ে লেগেছে। জানা গেছে জুম ডাউনলোড হয়েছে ৫ কোটি বারেরও বেশি। সø্যাক-এর আয় ৭৮ শতাংশ বেড়েছে। নেটক্লিক্সের গ্রাহক ৭ মিলিয়ন বেড়ে গিয়ে পৌঁছেছে ১৬৭ মিলিয়নে।