আজ রহমতের দ্বিতীয় দিন

0

মুফতি মো. হাফিজুর রহমান ॥ আজ রহমতের দ্বিতীয় দিন। মুমিনের জীবনে রোজার গুরুত্ব¡ অপরিসীম। রোজা পালন করা ছাড়া কোনো মুমিন আলাহ তা আলার সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে না। মানব জীবনের ল্য ও উদ্দেশ্যই হল আলাহ তা আলার সন্তুষ্টি অর্জন করা। রমজান মাসের অনেক ফজিলত রয়েছে। এ মাস রহমত, বরকত, গোনাহ মাফ ও দোয়া কবুল হওয়ার মাস। হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে: হযরত উবাদাহ ইবনে সামিত (রা.) বলেন- রসুলুলাহ (স.) একদিন বললেন, রমজান মাস এসে গেছে। এটা বরকতের মাস। আলাহ তা আলা এ মাসে প্রচুর রহমত দান করেন। প্রচুর মা করেন এবং প্রচুর দোয়া কবুল করেন। পবিত্র রমজান মাসে আলাহ তা আলা তাঁর প্রিয় রোজাদার বান্দাদের জন্য অফুরন্ত সৌভাগ্য ও মঙ্গল নির্ধারণ করেছেন। এ মাসের আরও বিশেষ ফজিলত হলো, এ মাসে এই উম্মতকে এমন পাঁচটি বিষয় দান করা হয়েছে, যা অন্য কোনো উম্মতকে দান করা হয়নি।
শুআবুল ঈমান গ্রন্থের এক হাদীসে এসেছে- হযরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুলাহ (স.) বলেন, আমার উম্মতকে রমজান উপলে এমন পাঁচটি জিনিস দান করা হয়েছে যা আগের কোনো উম্মতকে দান করা হয়নি। (১) রোজাদারদের মুখের গন্ধ আলাহর কাছে মেশক আম্বরের সুগন্ধী অপো উত্তম। এর দ্বারা বোঝানো হয়েছে যে, রোজাদারদের প্রতি আলাহ তা আলা এমন খুশি হন, তার কোনো কিছুই তাঁর কাছে খারাপ লাগে না। তাঁর সব কিছু আলাহর কাছে প্রিয় হয়ে যায়। এমনকী রোজাদারের মুখের গন্ধটাও ভাল লাগে। (২) রোজাদারের জন্য ফেরেশতাগণ রহমতের দোয়া করতে থাকেন। (৩) রোজাদারের উদ্দেশে আলাহ পাক জান্নাতকে প্রতিদিন নতুন নতুন রুপে সুসজ্জিত করেন। এতে পরিষ্কার বোঝা যায়, যদি- রোজাদারদের, জান্নাতে প্রবেশ করানো না হবে, তাহলে তাদের জন্য জান্নাতকে সাজানো অর্থহীন হয়ে যায়। তাদের জন্যই যখন সাজানো হচ্ছে, তখন অবশ্যই তাদের সেখানে প্রবেশ করানো হবে । (৪) এই মাসে বড় বড় শয়তানদেরকে বেঁধে রাখা হয়। নবী করীম (স.) বলেন, রমজান মাসে শয়তানকে বেঁধে রাখা হয়। ফলে অন্য সময়ের মত এ মাসে শয়তান ধোঁকা দিতে সম হয় না। (শুআবুল ঈমান) হাদীসের বর্ণনা মতে, এ মাসে শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে রাখা হয়। যাতে মানুষ শয়তানের কুমন্ত্রণা মুক্ত হয়ে বেশি বেশি ইবাদত করতে পারে এবং গোনাহ মুক্ত থেকে পবিত্র জীবনের সূচনা করতে পারে। (৫) রমজান উপলে রোজাদারদের মা করে দেওয়া হয়। বিশেষ করে রমজানের শেষ দিকে আলাহ তাঁর বান্দাদের সব ধরনের গোনাহ মা করে দেন । (বায়হাকী)