নেপথ্যে পরকীয়া! মন্ত্রীর গানম্যানের গুলিতে আহত অপর বন্ধুরও মৃত্যু

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হকের গানম্যান ও পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) কিশোর কুমার সরকার গত ১৬ এপ্রিল তার এক বন্ধুকে গুলি করে হত্যা করেছিলেন। এসময় তার আরেক বন্ধু গুলিবিদ্ধ মহিম উদ্দিন (৩২) সাত দিন মুমূর্ষু অবস্থায় কাটিয়ে অবশেষে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন মজুমদার। নিহত মহিম উদ্দিন গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সীমান্তবর্তী পাশের টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুরের আজগানা গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে। ঘটনার দিনই নিহত হন একই গ্রামের সবুর উদ্দিনের ছেলে শহিদ (৩০)। মন্ত্রীর গানম্যান হলেন গাজীপুরের এসবির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) কিশোর কুমার সরকার (৩৫)। তিনি কালিয়াকৈর উপজেলার কুতুবদিয়া গ্রামের নারায়ণ কুমার সরকারের ছেলে। পুলিশ তাকে ঘটনার এক দিন পর সাভারের আশুলিয়া (শিমুলতলী) এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে। ওই সময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল ও ছয় রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রীর গানম্যান এএসআই কিশোর ও হতাহতরা পরস্পর বন্ধু। তারা প্রায়ই একসঙ্গে আড্ডা দিতেন। স্ত্রীর সঙ্গে কিশোরের দীর্ঘদন ধরে দাম্পত্য কলহ চলছিল। সম্প্রতি ওই কলহের জেরে স্ত্রী ঢাকার বাসা থেকে বাবার বাড়ি চলে যান। এই কলহের কারণ হিসেবে কিশোর তার স্ত্রীর সঙ্গে নিহত মহিম উদ্দিনের পরকীয়াকেই সন্দেহ করছিলেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এ জন্যই মহিমকে হত্যার উদ্দেশ্যেই গাঁজা সেবন ও আড্ডা দেয়ার কথা বলে গত ১৬ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টায় স্থানীয় কুতুববদিয়ায় এলাকার একটি পতিত জমিতে ফোন করে আসতে বলেন কিশোর। পরে মাহিম তার বন্ধু শহিদকে নিয়ে উল্লেখিত স্থানে কিশোরের জন্য অপো করছিলেন। পরে রাত পৌনে ১০টার দিকে কিশোর মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থলে গিয়ে কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার কাছে থাকা পিস্তল দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকেন। এতে মহিমের গায়ে দুটি এবং শহিদের বুকে একটি গুলি লাগে। এতে শহিদ ঘটনাস্থলেই নিহত হন। গুলির শব্দ পেয়ে এলাকাবাসী ছুটে এলে কিশোর দৌড়ে পালিয়ে যান। আহত মহিম উদ্দিনকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন মজুমদার বলেন, আহত বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২টার দিকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। মৃত্যুর আগে মহিম ঘটনার বিস্তারিত পুলিশকে জানিয়েছিলেন।