লোকসমাজ ডেস্ক॥ বাংলাদেশ বিমানের স্পেশাল ফ্লাইট পাঠিয়ে দিল্লি থেকে ফিরিয়ে আনা হলো আরও ১৬২ বাংলাদেশিকে। নয়া দিল্লীস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন তথা সরকারি উদ্যোগে তাদের ফেরানো হয়েছে। বাংলাদেশ মিশন জানিয়েছে- শুক্রবার অপরাহ্নে দিল্লী থেকে ফেরা অধিকাংশই রোগী । তবে বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রীরাও ছিলেন। দিল্লী থেকে যাত্রার পূর্বে ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরানের নেতৃত্বে দূতাবাস কর্মকর্তাদের একটি দল যাত্রীদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করে। ওই বাংলাদেশিরা চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে আটকা পড়েছিলেন বলে মিশনের বার্তায় উল্লেখ করা হয়।
গত ২৫ মার্চ থেকে ভারতে লকডাউন শুরুর পর নয়া দিল্লীস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন এবং কলকাতা, মুম্বাই, গোয়াহাটি ও ত্রিপুরাস্থ মিশনসমূহের সহযোগিতায় প্রায় এক হাজার বাংলাদেশী বিমান ও স্থল পথে দেশে ফিরেছেন। যারা এখনও ভারতে অবস্থান করছেন তাদের দেশে ফেরানোর জন্য বাংলাদেশ হাই কমিশন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে উভয়দেশের কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি যথাসময়ে দূতাবাসের ওয়েবসাইট, ফেসবুক সহ বিভিন্ন মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হবে। ছাত্র-ছাত্রীদেরকে তাঁদের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে জানানো হবে। উল্লেখ্য, ভারত সরকার অভ্যন্তরীন ও আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিমান, রেল বা গণ-পরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রেখেছেন। বিদেশ থেকে প্রবাসী ভারতীয়দের প্রত্যাবর্তনের নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে মেনে চলা হচ্ছে। কূটনীতিবিদসহ সকল বিদেশীদের লকডাউন সংক্রান্ত অনুশাসন সমূহ মেনে চলার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার প্রবাসে অবস্থানরত সকল বাংলাদেশীদের সমস্যাদি নিরসনে সচেষ্ট রয়েছে। বিভিন্ন দেশ থেকে অনেকেই দেশে ফিরছেন। আটকে পড়া সকলকে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য ভারতস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহ সরকারের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছে। তবে উভয়দেশের জনগণের স্বাস্থ্যঝুকির কথা বিবেচনা করে সকলকে অতি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া আন্তর্জাতিক ভ্রমণ পরিহার করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। সকলকে আতংকিত না হয়ে ধৈর্য্য ধরে স্থানীয় সরকারের নির্দেশাবলী পালনের জন্য আহবান জানানো যাচ্ছে।