মোংলার উপকূলীয় অঞ্চলের শ্রমিকরা যাচ্ছেন বিভিন্ন এলাকার ধান কাটতে

0

মোংলা (বাগেরহাট) সংবাদদাতা ॥ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটা ও মাড়াই শ্রমিকের যোগান হচ্ছে সুন্দরবন সংলগ্ন মোংলার উপকূলীয় অঞ্চল থেকে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে পাঠানো হচ্ছে এসব শ্রমিক। বৃহস্পতিবার দুপুরে সড়ক পথে প্রথম দফায় স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় বরিশালের বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটার শ্রমিক পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, নোনা পানির চিংড়ি ঘের অধ্যুষিত এ অঞ্চলে মূলত একমুখী ফসল আমনের উৎপাদন হয়ে থাকে। তাও চাহিদার তুলনায় খুবই নগন্য। এ ধানের উৎপাদনে দিনমজুর শ্রমিক তো দূরের কথা জমির মালিকেরও খাদ্য চাহিদা পূরণ হয় না। তাই প্রতি বছর এখানকার শ্রমিকরা ধান কাটা ও মাড়াই মৌসুমে এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে গিয়ে থাকেন। কিন্তু এ বছর করোনা ভাইরাসের কারণে মোংলা অঞ্চলের শ্রমিকদের বোরো ধান কাটতে যাওয়া অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে। এ ছাড়া বোরো ধান উৎপাদিত অঞ্চলে দিনমজুর শ্রমিকের সংকট দেখা দেয়। আর জমির মালিকদের ধান ঘরে ওঠা নিয়ে দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। এ অবস্থায় স্থানীয় দিনমজুর শ্রমিকদের আগ্রহের কারণে এগিয়ে আসে স্থানীয় প্রশাসন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে চাহিদা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটার শ্রমিক পাঠানোর কাজে সার্বিক সহযোগিতা করছেন প্রশাসন।
বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার পঙ্কজ কুমার রায় জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে মোংলা বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রথম দফায় ৫৬ জন শ্রমিক পাঠানো হয়েছে বরিশালের বিভিন্ন এলাকায়। পর্যায়ক্রমে এ অঞ্চলের সহ¯্রাধিক ধান কাটা ও মাড়াই শ্রমিক পাঠানো হবে সিলেট, গোপালগঞ্জ ও বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। মোংলার চিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আকবর গাজী জানান, এ ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াও বাস, ট্রলার ও লঞ্চসহ যাতায়াতের সকল সুবিধাদির দায়িত্ব নিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। এদিকে বেকার শ্রমিকরা জানান, ধান কাটা ও মাড়াই কাজে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগসহ খাদ্য সংকট দূর হবে। তারা বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটা ও মাড়াই কাজের যাওয়ার সুযোগ পেয়ে খুশি।